ইবিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জার্নালিজম বিভাগের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২২:০৭ পিএম

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে 'সাংবাদিকদের উপর হামলা মানে গণতন্ত্রের কবর', 'অপরাধ কোনটি? সাংবাদিকতা নাকি হামলা', 'সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করা চলবে না', 'যতই করো হামলা কলম মোদের থামবে না', 'গণতন্ত্র রুখে দাঁড়াক, নির্যাতনের প্রতিবাদ হোক' ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়। 
 
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন,"আমাদের ভাই নুরের ওপর হামলা কোনোভাবে কাম্য নয়। মারামারির ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ কোনো অপরাধ নয়। এটা সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব। আমরা এই হামলার বিচার চাই।"
 
এসময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন,"সাংবাদিক নুরে আলমকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে, তাকে রুদ্ধ করা হয়েছে, তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে।  সাংবাদিকতাকে দেশের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। তাকে তথ্য সংগ্রহে বাধা দেয়া হয়েছে। মারামারির মতো ঘটনা ঘটলে সাংবাদিক অবশ্যই ভিডিও করতে পারে এটা তার অপরাধ নয়। আপনারা বিভাগের মারামারি নিউজ মনে করেন আর নাই করেন তথ্য সংগ্রহের পরে একজন সাংবাদিক বিচার বিশ্লেষন করবেন সেটা নিউজ করার যোগ্য কিনা। একজন সাংবাদিকের উপর হামলা কোনোভানে কাম্য নয়। সাংবাদিক সবসময় সত্যকে তুলে ধরে। তার সীমানা রুদ্ধ করা কোনোভাবে কাম্য নয়। আমরা প্রশাসনের কাছে দোষীদের দ্রুত বিচার চাই এবং যেভাবে প্রকাশ্যে তার ওপর হামলা করা হয়েছে তেমনি অভিযুক্তদের নুরে আলমের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।"
 
 
 
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১২ জুলাই) অর্থনীতি বিভাগের দুই বর্ষের ফুটবল খেলা চলাকালে সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহকে মারধর ও তার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিক নুরে আলম ভিডিও করতে গেলে তাকেও ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী মিলে মারধর করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সাংবাদিক রবিউলকেও মোবাইল নেওয়ার চেষ্টা করে তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনার সময় উপস্থিত কেউই বাধা দিতে সাহস পায়নি, পরে কয়েকজন বড় ভাই এসে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। সাংবাদিকদের উপর এই হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয় এবং দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করে সংশ্লিষ্টরা।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর