ইবিতে সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে তথ্য গায়েব, ধামাচাপা দিতে অসুস্থতার নাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২২:০৭ পিএম

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারামারির ভিডিও করতে গেলে মারধরের শিকার হন তিন ক্যাম্পাস সাংবাদিক। এসময় বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা পারভীন তিনা ভুক্তভোগী আরিফ বিল্লাহর (দৈনিক আমাদের বার্তা) মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তার উস্কানিতে বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।

পরে আরেক সাংবাদিক নুর-এ আলম (বার্তা২৪) মারধরের ভিডিও করতে গেলে তাকেও মারধর করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে একইভাবে আরেক সাংবাদিক রবিউল আলমের (দৈনিক আজকালের খবর) উপরেও ঝাপিয়ে পড়েন তারা। এভাবে পরপর তিনজন সাংবাদিককে দফায় দফায় মারধর করা হয়। ঘটনার পরবর্তীতে সেখানে অন্য সাংবাদিকরা সমাধানের জন্য গেলে তাদের সাথেও বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিক উত্তেজিত অবস্থায় তাদের দিকে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
 
এদিকে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে নতুন ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, প্রক্টরের সামনে তাদের বান্ধবী আফসানাকে সাংবাদিকরা মারধর করেছে। তবে এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।’
 
এদিকে ওই ঘটনার পর স্বাভাবিকই ছিলেন আফসানা পারভীন তিনা। কিন্তু প্রায় আধা ঘণ্টা পর অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয় তিনাকে।
 
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সহ সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি প্রায় পুরো ঘটনার সময়ে সেখানে ছিলাম। আমি ওই মেয়েকে মারধর করতে দেখি নি। আমার দেখার বাইরে কিছু হয়েছে কিনা জানি না। তবে ঘটনা শেষ হওয়ার পর প্রক্টর স্যার ও সমন্বয়ক সুইট ভাই শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছিলেন। এসময় সেই মেয়ে স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো। প্রায় আধা ঘণ্টা পরে সে নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে তাকে প্রক্টর স্যারের গাড়িতে মেড়িকেলে পাঠানো হয়।’
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আফসানা পারভীন টিনা বলেন, ‘বিভাগের স্যাররা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাই এ-ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘ছাত্রীর গায়ে কোন আঘাত লাগার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে আতঙ্কগ্রস্ত বা প্যানিক অ্যাটাকে এমন হতে পারে।’
 
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, সাব্বির, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত, রিয়াজ মোর্শেদ, সৌরভ সোহাগ ও পান্না। একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অজিল, সাইফুল, রাকিব, মশিউর রহমান রিয়ন ও হৃদয়সহ ২০-২৫ জন।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর