আগামী পঞ্চাশ বছরের নেতৃত্ব শিবির-স্কুলিং প্রজন্মের হাতে: পিনাকী

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ০৯ আগষ্ট ২০২৫ ১১:০৮ এএম

বাংলাদেশের আগামী পঞ্চাশ বছরের সাংস্কৃতিক, একাডেমিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব এক্স-শিবির প্রজন্মের হাতে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষক ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি বলেন, যারা মনে করছেন ভবিষ্যতের বাংলাদেশও বামঘরানার বুদ্ধিবৃত্তিক কাঠামোর প্রভাবাধীন থাকবে, তারা ভুল করছেন। সেই যুগ শেষ, নতুন এক ধারা শুরু হচ্ছে। এই ধারা ভারতমুখী নয়, আদর্শগতভাবে আপসকামী নয় এবং তুলনামূলকভাবে সৎ প্রজন্মের হাতে গড়ে উঠছে।

পিনাকী লেখেন, একসময় ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ বা উদীচীর মতো সংগঠন তাদের সাংস্কৃতিক নেটওয়ার্ক ও ক্যাডারভিত্তিক গঠনের মাধ্যমে সিভিল সোসাইটি, মিডিয়া, একাডেমিয়া ও রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে অদৃশ্য প্রভাব বিস্তার করেছিল। আগামী কয়েক দশকে সেই জায়গা দখল করবে শিবির-স্কুলিং প্রজন্ম।

তার মতে, এই প্রভাব সরাসরি জামায়াতের পতাকা হাতে আসবে না, যেমন সংগঠিত শক্তি থাকা সত্ত্বেও সিপিবি জাতীয় রাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেনি। তবে পেশাগত পরিসর, নীতি-নির্ধারণী কাঠামো এবং রাজনৈতিক বলয়ে এক সময় অদৃশ্য অথচ অনিবার্য শক্তি হিসেবে জায়গা করে নেবে শিবির-স্কুলিং প্রজন্ম।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদের দমননীতি সব সংগঠনকে ধ্বংস করলেও, ক্যাডারভিত্তিক রাজনৈতিক স্কুলিং-এর প্রতিষ্ঠান হিসেবে একমাত্র শিবিরই টিকে আছে কঠোর শৃঙ্খলা, ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ এবং নেটওয়ার্ক রক্ষা করার ক্ষমতা দিয়ে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এই ধারাবাহিকতার মূল্য পরিশোধ করবে ক্ষমতা ও প্রভাবের মাধ্যমে।

পিনাকী তার পোস্টে এক যুগ আগে তোলা একটি আন্দোলনের ছবি শেয়ার করেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শুরুর সময়কার আইকনিক মুহূর্তের সেই ছবির তরুণ বর্তমানে দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। পিনাকীর ভাষায়, এটি কেবল একজন মানুষের গল্প নয়, বরং একটি সংগঠিত রাজনৈতিক স্কুলিং-এর সাফল্যের প্রতীক।

তিনি লেখেন, অনেকেই এখনো রাজনৈতিক কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, অথচ সেই তরুণ নিঃশব্দে সমাজে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে ফেলেছেন। আন্দোলনের সময়কার সেই ছবি তিনি সামনে আনেন না, কিন্তু মানুষ তাকে খুঁজে নিয়েছে, কারণ এটি একসময় আন্দোলনের রক্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর