যুক্তরাষ্ট্রে সাত কোটি টাকার বৃত্তি পেল নোবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫ ০১:০৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে সাত কোটি টাকার বৃত্তি পেল নোবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের দুই শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করতে প্রায় সাত কোটি টাকার সমমূল্যের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেছেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মফিজুল ইসলাম এই সুখবর জানান। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বিজিই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের কুমকুম কর এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ফারিয়া মেহজাবীন শুচি। তারা উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের অগাস্টা ইউনিভার্সিটি-তে বায়োমেডিকেল সায়েন্সে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন।
 
প্রতিজন শিক্ষার্থী বছরে স্টাইপেন্ড হিসেবে ৩১ হাজার মার্কিন ডলার এবং টিউশন ও স্বাস্থ্য বীমা বাবদ আরও ৪৪ হাজার ৩১৮ ডলার করে পাবেন। চার বছর মেয়াদে এ অর্থের বাংলাদেশি সমমূল্য প্রায় তিন কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সম্মিলিতভাবে দুই শিক্ষার্থী পাচ্ছেন প্রায় সাত কোটি টাকার বেশি অর্থমূল্যের বৃত্তি।
 
এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কুমকুম কর বলেন, “এই পিএইচডি অফার পাওয়া আমার জীবনের বড় স্বপ্ন পূরণের এক ধাপ। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর অধ্যাপকদের সহায়তায়ই আজকের এই অর্জন। বিশেষ করে ড. মুরাদ হোসাইন স্যার, ড. মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম স্যার, মো: শাহাদাৎ হোসাইন স্যার এবং ড. ধীরেন্দ্র নাথ বর্মন স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের দিকনির্দেশনাই আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।”
 
তিনি আরও জানান, অগাস্টা ইউনিভার্সিটি ছাড়াও ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং লুইজিয়ানা হেলথ সায়েন্স সেন্টার, শ্রেভেপোর্ট থেকেও পূর্ণাঙ্গ পিএইচডি অফার পেয়েছেন তিনি।
 
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে গর্বিত বিজিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, “এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। আমাদের শিক্ষার্থীদের গণ্ডি শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, তাদের লক্ষ্য পুরো বিশ্ব। বায়োটেকনোলজি আগামী শতাব্দীর বড় নিয়ন্ত্রক শক্তি হবে—এই বিশ্বাস থেকে আমরা তাদের প্রস্তুত করছি। আমাদের বহু শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও কানাডায় পড়াশোনা করছে, এবং শতভাগই পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি নিয়ে গেছে। এ সাফল্য জুনিয়রদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করছে।”
 
শিক্ষার্থীদের এই অর্জন নোবিপ্রবির গর্বকে আরও সমৃদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর