আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জ: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। আগামী নির্বাচন শুধু দেশের জন্য নয়, ইসলামী আন্দোলনের জন্যও এক কঠিন চ্যালেঞ্জ।
জনগণ পরিবর্তন দেখতে চায়, আর সেই পরিবর্তন সাধনে জামায়াত জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে। শুধু তাই নয়, জনগণের রায়ে দেশের দায়িত্ব জামায়াত পেলে জাতি ইসলামের নেয়ামতসমূহ ভোগ করবে, ইনশাআল্লাহ। সেই লক্ষ্য অর্জনে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নানা বাধা আসতে পারে। কিন্তু বাধা দেখে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আমাদের অগ্রযাত্রা হবে আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে জামায়াত ত্যাগ স্বীকার করবে এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে। এজন্য সকল দায়িত্বশীলকে ত্যাগের মানসিকতা ধারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট-৪, ৫ ও ৬নং সংসদীয় আসনের জামায়াতের ভোটকেন্দ্র প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় আমানুল্লাহ কনভেনশন হলে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান। সঞ্চালনা করেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাশুক আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর ও সিলেট-৬ আসনে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন—অধ্যাপক আব্দুল হান্নান (সিলেট-২), হাফিজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন খান (সিলেট-৫), ড. নূরুল ইসলাম বাবুল (মহানগর নায়েবে আমীর), মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (সিলেট-৪),
মাওলানা লোকমান আহমদ (সিলেট-৩), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান, জেলা পেশাজীবী পরিষদ সভাপতি মাস্টার নূরুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট আসনসমূহের নির্বাচন পরিচালকগণ।
সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও পৌর আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারী এবং দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, অতীতের অনেক শাসক দুর্নীতি, লুটপাট ও জনগণের সম্পদ অপচয় করলেও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অথচ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী সততা ও দায়বদ্ধতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন—দুর্নীতি তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। আজও ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বক্ষেত্রে সংযমী, বিনয়ী ও দায়িত্বশীল হতে হবে। আবেগ নয়, প্রজ্ঞা দিয়ে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। বিতর্ক ও বিভাজন এড়িয়ে চলতে হবে। কেউ ভুল করলে আন্তরিকভাবে সংশোধনের মানসিকতা রাখতে হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: