১৫ আগস্ট সামনে রেখে ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ ঘোষণা শিবিরের

ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ১৫ আগস্ট ‘ইসলামি শিক্ষা দিবস’ পালন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এবারও দিবসটিকে সামনে রেখে ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ শুরু হবে, চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। বুধবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্ট ইসলামি শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ কর্মসূচি পালনের (১৪-২০ আগস্ট) উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে শিক্ষা সপ্তাহ পালন করা হবে।
শিবিরের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ‘শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন, সেমিনার/সিম্পোজিয়াম, আলোচনা সভা, শিক্ষা উপকরণ ও উপহার বিতরণ। এছাড়া ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও আব্দুল মালেক, ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা, ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রভৃতি বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা।
শিক্ষা সপ্তাহে আরও থাকবে কুইজ প্রতিযোগিতা, বক্তব্য প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, জাতীয় পত্রিকা, বিভিন্ন ব্লগ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামী শিক্ষা দিবস ও আব্দুল মালেকের জীবনী নিয়ে লেখালেখি, শিক্ষার্থীদের নিয়ে শাখাপর্যায়ে ‘প্রেরণার বাতিঘর’ বইয়ের ওপর ‘বইপাঠ প্রতিযোগিতা’ আয়োজন ও অদম্য মেধাবীদের সংবর্ধনা।
ছাত্রশিবিরের তথ্যমতে, ১৯৬৫ সালে আব্দুল মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রথমে তিনি যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে জড়িত হন। এরপর মুসলিম লীগে যোগ দেন। অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখার সময়ে তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগ দেন।
১৯৬৬-৬৭ সালে তিনি ঢাকা শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৭ সালে শহর শাখার সভাপতি ও ১৯৬৮ সালে নিখিল পাকিস্তান ইসলামি ছাত্রসংঘের কার্যকরি সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালে ঢাকার নিপায় জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর আলোচনায় অংশ নেন। তিনি ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা প্রণনয়নের পক্ষে মত দেন। ১২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আরেকটা আলোচনা সভায়ও তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।
শিবিরের দাবি, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ১৫ আগস্ট তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে নিহত হওয়ায় তার মৃত্যুর দিনটিকে ইসলামি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে শিবির।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: