আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ভারতে বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলনে’ এসব মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের ‘বি-টিম’ চলে এসেছে দাবি করে প্রতিহতের ঘোষণা দেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত এক বছরে কী করেছে, তা সবার সামনে প্রকাশ করতে হবে। এর পাশাপাশি বিশেষ করে মিডিয়া, প্রশাসন ও সামরিক বাহিনী নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়ায় আগের মতো রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী হস্তক্ষেপ করছে। মিডিয়া আবারও আগের রূপে ফিরে যাচ্ছে। এ সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হাসনাত বলেন, ‘একটি দলের নেতারা নিউজ লিখে দেয়, মিডিয়া সেটা প্রকাশ করে। আমাদের আটকে রেখে চ্যানেল ওয়ান, ডিবিসিকে ফোন দেওয়া হতো হেডলাইন পরিবর্তন করেন, ব্রেকিং পরিবর্তন করেন। একই অবস্থা আবারও দেখতে পাচ্ছি। মিডিয়া এখনো বিশেষ দল নিয়ন্ত্রণ করছে। আগে বুলেট দিয়ে ব্যালট নিয়ন্ত্রণ করা হতো, এবার পারলে আসুন বুলেট নিয়ে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, একবছরে প্রশাসনের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। ৫ আগস্টের পর বঞ্চিত নামের এক ধরনের গোষ্ঠী প্রশাসনকে কব্জা করেছে। ৫ আগস্ট না হলে এই প্রশাসনের লোকেরাই শেখ হাসিনার পক্ষে কলাম লিখতো। এ সময় ভোটের আগে প্রশাসনের সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ সময় ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এনসিপির অন্যতম শীর্ষ এ নেতা। তিনি বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের অর্থ কখনো হিসাব করা হয় না। এই প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করুন, প্রয়োজনে ব্যান করুন। সব মিলিটারি অর্গানাইজেশনকে বাংলাদেশপন্থি হিসেবে গড়ে তুলুন।’
এনসিপির আরেক নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুরে মামলার সমালোচনা করেন তিনি। হাসনাত বলেন, ‘সারজিসের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা সিগন্যাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাসিনা মামলা করতো, একটি বিশেষ দলের নেতারা তাই করার চেষ্টা করছে।’
হাসনাত বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা তারেক রহমান নিজের ছবি নিজে পোস্ট করে আত্মসমালোচনা করেন, অথচ তার দলের নেতারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি দেয়, মামলা দেয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না দিলে মনে করব সেন্ট্রাল থেকেই এসব আদেশ আসে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: