‘রাজাকার সবগুলোরে ফাঁসি দিছি, এবার আন্দোলনকারীদের ও ছাড়ব না’

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২৫ ০০:০৮ এএম

ফাইল ফটো

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতে কতটা মরিয়া ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তার কিছু ফোনালাপে। এবার তার ফোনালাপের নতুন একটি অডিও ক্লিপ তদন্ত সংস্থার হাতে এসেছে। ফরেনসিকে সত্যতা পাওয়ার পর প্রসিকিউশন সেই ফোনালাপের অডিওটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) শেখ হাসিনার মোবাইল কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছে। এটি তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে করেছিলেন।

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথোপকথনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, রাজাকারদের ফাঁসি দিয়েছি, এবার ওদেরও ছাড়ব না।

 

কথোপকথনের একপর্যায়ে আবারো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন মাকসুদ কামাল। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যবস্থা করছি, সব ক্যাম্পাসে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

 

একপর্যায়ে ছাত্রলীগ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার কথা বলেন মাকসুদ কামাল। জবাবে আবারও রাজাকার প্রসঙ্গ আনেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রাজাকারদের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলাকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।’

 

মাকসুদ কামালও বলেন, ‘ঝামেলা মিটে গেলে ধরে ধরে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ শেখ হাসিনাও সায় দেন।

 

তিনি বলেন, ‘আজকে সহ্য করার পরে সবাইকে এরেস্ট করবে, ধরে নেবে এবং যা অ্যাকশন নেয়ার নেবে, কারণ ইংল্যান্ডে এ রকম ছাত্ররাজনীতির জন্য মাঠে নামলো, কতগুলো মেরে ফেলায় দিলো না? ঐ অ্যাকশন না নেয়া ছাড়া উপায় নাই।’

 

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, শেখ হাসিনা ও মাকসুদ কামালের কথোপকথনেই পরিষ্কার, আন্দোলন দমনে গুলি করাসহ সব রকম নির্দেশনায় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

 

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ফোনালাপটি পাওয়ার পর তারা এটির ফরেনসিক করেন। এর সত্যতা পাওয়ার পর এটি ট্রাইব্যুনালে জমা দেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার যে বিচারকাজ চলছে এতে এই অডিওটি প্রমাণ হিসেবে কাজে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন টিমের সদস্যরা।

এআরএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর