বাগছাসের কাদের শিবিরের সাথী ছিল: সাবেক ঢাবি সভাপতি রিফাত

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ০৫ আগষ্ট ২০২৫ ০৩:০৮ এএম

ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আত্মপ্রকাশ এবং আব্দুল কাদেরের বিষয়ে গোপন কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি রাফে সালমান রিফাত। সোমবার (৪ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পোস্টে আব্দুল কাদেরকে শিবিরের সাথী হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি।

রিফাত বলেন, আমার ধারণা, আব্দুল কাদেরকে তখন ইন্সটিটিউট ফ্যাকাল্টির সাথী এবং নিজেদের জনশক্তি হিসেবে হিসেবেই গণ্য করতো শিবির। যদিও সে ক্যাম্পাসে ছাত্রশক্তির অ্যাক্টিভিটিতেই বেশি জড়িত ছিল।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গঠিত হওয়ার সময় আমি শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এবং সাদিক কায়েম সেক্রেটারি। ছাত্রশক্তি আত্মপ্রকাশের কয়েকদিন আগে আখতার আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে চায়। কী বিষয় জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ছাড়া আর কারোর রাজনীতি নাই, নতুন একটা সংগঠন নিয়ে কাজ করতে চায় তারা।

রিফাত আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে আখতার, নাহিদ, মাহফুজ, আসিফ আর আহনাফ সাঈদ। আমাদের দিক থেকে ছিলাম আমি আর সাদিক। সন্ধ্যার পর হাতিরপুলের এক রেস্টুরেন্টে আলাপ শুরু হয়।  তখনও সম্ভবত ছাত্রশক্তির নাম ফাইনাল হয়নি।

প্রায় ৩ ঘণ্টা সবকিছু নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় বলে জানান রিফাত। ফেসবুক পোস্টে ঢাবি শিবিরের এই সাবেক সভাপতি বলেন, প্রথমে আখতার খুব সংক্ষিপ্ত একটা ব্রিফিং দেওয়ায় বুঝলাম যে দলনেতা সে। এরপর আমি প্রশ্ন করা শুরু করি, খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করেছি নানান বিষয়ে। ফিলোসফি, স্ট্র‍্যাটেজি, ফিউচার প্ল্যান, গোল, ন্যারেটিভ, সাপোর্ট বেইজ ইত্যাদি প্রায় সবকিছু নিয়ে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, আখতার আমার সামনে থাকলেও একটা প্রশ্নেরও উত্তর দিলো না। প্রায় সবগুলো প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছে মাহফুজ। মাঝেমধ্যে দুই একটা বিষয় যুক্ত করেছে নাহিদ। বাকি দুইজন আসিফও আহনাফ ছিল শুধুই নীরব শ্রোতা।

নতুন এই রাজনৈতিক উদ্যোগের প্রায় পুরোটাই মাহফুজের ব্রেইন চাইল্ড এবং সেই মূলত মূল আইডিওলোগ যেখানে আখতার শুধুমাত্র সামনের ফেস মাত্র বলে উল্লেখ করেন রিফাত।

শিবিরের সঙ্গে আলাপের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছ থেকে তারা দোয়া, সমর্থন এবং সার্বিক সহযোগিতা চাইলো। ক্যাম্পাস একটিভিজমের তখনকার যে চিরাচরিত নিয়ম, সেটির অংশ হিসেবেই সম্ভবত। আখতারকে আহ্বায়ক, নাহিদকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্রীয় বডি এবং আসিফকে আহ্বায়ক ও বাকেরকে সদস্য সচিব করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি প্রস্তুত করা হয়।

আত্মপ্রকাশের পর ছাত্রশক্তির মধ্যে বিভিন্ন বিতর্ক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন নিয়ে বিস্তারিত কথাও উল্লেখ করেন রিফাত। আন্দোলনে সব দলের সামনে বৈছাআর নেতৃত্ব এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, ছাত্রশক্তি নয় মাসের জার্নিতে ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক নানাবিধ অ্যাক্টিভিটিতে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্নভাবে শিবিরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলেছে। সেই সমন্বয় ও সম্পর্কে জোয়ারভাটা থাকলেও কখনও তা শত্রুতায় রূপ নেয় নাই। তবে আজ সবাই পলিটিক্স শিখে গেছে। এমন ভাব যেন তখন তারা শিবিরের কাউকে চিনতো না। ক্ষমতার অন্ধ মোহে নিজের এককালের সেইফগার্ডকেও নোংরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।

এআরএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর