‘যারা নতুন নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছেন, তারা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়’

জোড়াতালি দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। অনির্বাচিতদের সংবিধান পরিবর্তনের দাবির সমালোচনা করে তারা বলেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তা সংসদে সমাধান করা হবে। যারা নতুন নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা সংসদীয় গণতন্ত্র বুঝেন না।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারবর্গকে সম্মাননা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অংশ নেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সব আন্দোলনে জীবন দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এর ফল ভোগ করেছে কিছু কুটিল রাজনীতিবিদ। সমালোচনা করেন, সংবিধান পরিবর্তনের আলাপ-আলোচনার।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই অনির্বাচিত ব্যক্তিরা সংবিধান সংশোধন করে। অথচ এখানে সে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জনগণের সম্মতি ছাড়া, সংসদের সম্মতি ছাড়া কীভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায়। যে সংবিধান ৭২ সালে আমরা রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি, সেটিকে তারা ছুড়ে ফেলে দিতে চায়।
এদিকে নীলক্ষেতে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেন, রাষ্ট্র সংস্কারে যারা নতুন তত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছেন, তারা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারগুলো এখনও আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের যদি কোনো সংশোধন করতে হয় তাহলে সেটা সংসদের মধ্য থেকে করতে হবে। সেটার জন্য প্রত্যেক দলকে জনগণের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিতে হবে। সেটি হতে হবে সংসদের মধ্যে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ড আবদুল মঈন খান বলেন, জোড়াতালির পরিবর্তন দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়, দেশের আঠারো কোটি মানুষের। আমি অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করতে চাই। আপনি গণতান্ত্রিক পথ উত্তরণকে দীর্ঘায়িত করবেন না। তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আবার জেগে উঠবে।
যে প্রত্যাশা নিয়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল তার কতটা পূরণ হয়েছে এমন প্রশ্নও তোলেন বিএনপি নেতারা।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: