ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে আমরা এগোতে পারবো: মির্জা ফখরুল

মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করে যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সামনে এগোতে পারবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া না থাকলে তিক্ততা সৃষ্টি হবে, যা রাজনীতিকে আরও কলুষিত করে তুলবে। তাই দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবার মধ্যে সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার একটি নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি মনেপ্রাণে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যারা বিপ্লব করবেন, তারা বিপ্লবী দল গঠন করবেন, বিপ্লবী সরকার গঠন করে সফল বিপ্লব ঘটাবেন এই বিশ্বাসও আমার আছে।
আলোচনার এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব। আহত এক শিশুর ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, গতকাল সাত বছরের একটি শিশু আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘আমার মাথায় খুলিটা নেই, খুলিটা প্লাস্টিকের।’ প্লাস্টিক দিয়ে আর্টিফিশিয়াল খুলি তৈরি করে লাগানো হয়েছে। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কী হতে পারে?
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত এক বছরে শহীদ ও আহতদের তালিকা পর্যন্ত তৈরি করতে পারেনি সরকার। যারা এই দেশকে পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের খোঁজ পর্যন্ত নেয়া হয়নি। পুনর্বাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগও দেখা যায়নি। যদি আমরা তাদের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে বড় ধরনের প্রতারণা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগান্তরের সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিএনপি মহাসচিব প্রেস ক্লাব চত্বরে একটি নিমগাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী (মানবজমিন), মাহমুদুর রহমান (আমার দেশ), নূরুল কবির (নিউ এজ), শফিক রেহমান (যায়যায়দিন) ও আবুল আসাদ (সংগ্রাম)-কে সম্মাননা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান ও মাহমুদুর রহমান। বাকিরা বিদেশে বা অসুস্থ থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: