নেতার গাড়িবহরে হামলার জেরে বিএনপির জেলা কমিটি বিলুপ্ত, বহিষ্কার ৫

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫ ২২:০৭ পিএম

চট্টগ্রামের রাউজানে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়কের গাড়িবহরে হামলা ও বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, শিগগিরই নতুন কমিটি গঠন করা হবে।

মঙ্গলবার রাত ৮টায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এছাড়াও উত্তর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিনসহ উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের ৫ জন নেতাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় আদর্শের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভেতরে কোন্দল জিইয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকালে জেলার রাউজানে উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িবহরে হামলা করা হয়। এতে গোলাম আকবরসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। এই হামলার জন্য গোলাম আকবর খন্দকার তার প্রতিপক্ষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দায়ি করেছেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তারা আমার গাড়ি তছনছ করে দিয়েছে এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে আমি ঢাকায় আছি। এই হামলার বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খন্দকার। এ সময় তার সাথে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে রাউজান পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সত্তরঘাট এলাকায় আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। হামলার জেরে নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির এই দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এসবকে কেন্দ্র করে গত এক বছরে রাউজানে উভয়পক্ষের ১৩ জন নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে দুইজনকে কেন্দ্রীয় বিএনপি শোকজ করেছিল। এরপরও সুফল আসেনি।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর