দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইন্তিফাদার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৫ ০০:০৭ এএম

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইন্তিফাদার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পশ্চিমের তাবেদার রাষ্ট্র বানানোর একটা সচেতন প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগনের প্রবল আপত্তির মুখেও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন সে প্রচেষ্টারই অংশ। এছাড়া ভারত ও আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে হাসিনা রেজিমের মতো জঙ্গি নাটক মঞ্চায়নের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে আলেম ওলামারা।

দেশবিরোধী এসব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গনমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করা ইন্টেরিম জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই গনঅভ্যুত্থান ছিলো ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত প্রতিরোধ। বাংলাদেশের জনগণ আর কোন রাষ্ট্রের তাবেদার হতে চায় না। অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি দেশকে পরিকল্পিতভাবে মার্কিন বলয়ে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করেন৷ বক্তারা তাদের বিরোধিতার বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেন।
১। এই কার্যালয় বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠক করতে পারে নাই। ইসরাইল এবং ভারত সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লংঘন করছে। কিন্তু এসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কোন কার্যালয় নেই।
২। যে সব দেশে এই কার্যালয় আছে তারা মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এই কার্যালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।
৩। পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদি আদিবাসী সন্ত্রাসীদেরকে মানবাধিকারের নামে এ কার্যালয় সমর্থন দিবে যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
৪। এ কার্যালয় সমকামিতা প্রচার ও প্রসারে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত যা এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
৫। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান কেন্দ্রিক আমেরিকান স্বার্থকে রক্ষা করবে এ কার্যালয়।

এছাড়া বক্তারা ইসলামপন্থী নাগরিকদেরকে মিথ্যা জঙ্গি নাটকে ফাঁসানোর তীব্র প্রতিবাদ জানান। ভিন্নমত দমনে হাসিনা রেজিমের জঙ্গিকার্ডকে হাতিয়ান বানানোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন জঙ্গিনাটক ফিরে আসলে তা শুধু ইসলামপন্থীদেরকেই আক্রান্ত করবে না, বরং তা যে কোন ভিন্নমত দমন করতে ব্যবহৃত হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মির ঈদ্রিস। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শামসুল আরেফিন শক্তি, আহমেদ রফিক, মাওলানা রফিক মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভী, আসিফ আদনান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদ, আবু ত্বহা আদনান, শাইখ রাহমানী সাহেব, মাওলানা আব্বাসী সাহেব ও হযরত মীর ইদ্রিস সহ আরো অনেকে।

এআরএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর