মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৫ ২৩:০৭ পিএম

মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে বিক্ষোভ

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নৃশংস এ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানায়।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে ভিসি চত্বরে এসে সমাবেশ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মিছিলটি শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ ; যুবদলের চাঁদাবাজরা, হুঁশিয়ার সাবধান; যুদলের সন্ত্রাস, রুখে দেবে ছাত্রসমাজ ; বিএনপির সন্ত্রাসের, হুঁশিয়ার সাবধান; আমার ভাই মরলো কেন? তারেক রহমান জবাদ দে; মিটফোর্ড খুন কেন? তারেক রহমান জবাব দে; সারা দেশে সন্ত্রাস কেন? বিএনপি জবাদ দে; জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, সারাদেশ চাঁদাবাজের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকটা জেলায়-বন্দরে নির্বিচারে চাঁদাবাজি করছে। গত পরশুদিন পুরান ঢাকায় চাঁদা না দেওয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় পাথর মেরে একজনকে হত্যা করেছে যুবদল। কোনো মিডিয়াতে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়নি, সোশ্যাল মিডিয়ায় না আসলে আমরা জানতে পারতাম না। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে এবি জুবায়ের বলেন, আমার দেশে চাঁদাবাজি হয়, খুন হয়। আর লন্ডন থেকে ফোন করে বলা হয় 'বোন আমি তারেক বলছি'। তারেক রহমান আপনি এই নাটক বন্ধ করে আপনার দলকে সামলান। ছাত্রদল, যুবদল আপনারা নতুন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না। নয়তো আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে আপনাদেরও একই পরিণতি হবে। 

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আপনারা নিজেদের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে পারছেন না। আমরা আপনাদের শত্রু না। আপনারা মজলুম ছিলেন জালিম হইয়েন না। আল্লার আরশ কিন্তু আবার কেঁপে উঠবে। বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, চাঁদা না দেওয়ার জাহিলিয়াতের মতো পাথর মেরে হত্যা করা হয়। এই অত্যাচার কেউ সইবে না। নতুন বাংলাদেশ গঠন করার স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পরে বিএনপি দেড়শোর ওপরে লাশ উপহার দিয়েছে। খুনিদের বিচার করতে হবে। জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। বেকারদের কর্মসংস্থান করতে হবে। নির্বাচনের জন্য লাইব্রেরি থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয় নাই। দেশকে সুন্দর করে সাজাতে হবে, সংস্কার না করে নির্বাচনের কথা চিন্তা কিরা যায় না। কোনো দখলদার, চাঁদাবাজদের হাতে দেশকে তুলে দিব না।

এআরএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর