যত চাপই থাকুক আপনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন ড. ইউনূসকে সাকি

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫ ২২:০৫ পিএম

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যেহেতু জনগণ একটা ভরসার জায়গায় রেখেছেন, সে কারণে তাকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাঝপথে চলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনার (ইউনূস) ওপর যত চাপই থাকুক না কেন আপনি যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তা পালন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

রোববার (২৫ মে) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

সাকি বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নানা জায়গায় অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। যা কিনা একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এ অনাস্থা এবং দূরত্বের জায়গাটা আমাদের কমিয়ে আনতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গভীর আলাপ-আলোচনা দরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যেখানে একদিকে হত্যাকারীদের বিচার এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করার জন্য গণতান্ত্রিক সংস্কারে যাওয়ার প্রয়োজন। এতে যে দায়িত্ব নেওয়া দরকার সেটা আপনার সরকারকেই নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় আর কোনো সুযোগ নেই।

জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি জনগণ একটা দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিচারবিভাগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিচারব্যবস্থা যে গতিতে এগোচ্ছে সেখানে যাতে কোনো দীর্ঘ না হয় এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে সে বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।

নির্বাচন ইস্যুতে সাকি বলেন, সরকারপ্রধান বলেছেন যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে আমরা বলেছি এ বিষয়ে যদি একটি সুনির্দিষ্ট সময় বলা যায়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো একটি প্রস্তুতি নিতে পারবে। এছাড়া অনেকে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন, নির্বাচনের যদি একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকে তাহলে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে না। পাশাপাশি আরও বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সে প্রতিষ্ঠানগুলো যখন পরিপূর্ণভাবে কাজ করা শুরু করবে তখনই তারা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবেন এবং প্রশাসনকে গোছানোর পরেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে নির্বাচনটা কবে নাগাদ সুনির্দিষ্টভাবে দেওয়া যায়।

বিএনপি তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। তার মধ্যে একজন একটা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাকি দুইজন উপদেষ্টা এখনো বিদ্যমান। আমরা বলেছি, বাকি যে দুইজন আছে তাদের কোন রাজনৈতিক পরিকল্পনা আছে কি না? যদি থাকে তাহলে তাদের এখান থেকে সরে যেতে হবে। যেহেতু এটার রাজনৈতিকভাবে গঠিত সরকার না তাই রাজনৈতিক মোটিভ নিয়ে এখানে থাকাটা নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হবে না।

গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটা জাতীয় পুনর্গঠনের কালে আছে। আমাদের এখানে জাতীয় নির্বাচনটাই মুখ্য এটা নিয়ে একটা রোডম্যাপ হওয়া প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় নির্বাচন পরে হলেও সমস্যা নেই।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর