আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ; হেরে গেছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৫ ০৬:০৫ এএম
আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ১:৩৮ পিএম

আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেয়নি বিএনপি

চ্যালেঞ্জে বিএনপি হেরে গেছে মূলত জামায়াত শিবিরের কাছে, বিএনপি চেয়েছিলো জামায়াত শিবিরকে সাথে নিয়েছে এনসিপি, তারা ফেইল মারুক, তখন বলা যাবে যে বিএনপি ছাড়া তোমাদের মুরোদ তো হলোনা। ফলে আন্দোলন কে সফল করা জামায়াত শিবিরের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে হাসনাত রা নামার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জামায়াতের মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন যমুনার সামনে হাসনাতদের পাশে গিয়ে সংহতি জানালে শুক্রবার সকাল থেকেই মিরপুর পল্টন, উত্তরা ও ঢাবি থেকে শিবিরের মিছিল আসতে শুরু হয় যমুনা অভিমূখে।

ঢাবি সভাপতি ফরহাদ ও কেন্দ্রীয় নেতা সিবগাতুল্লাহ যোগ দেন, সিবগাতুল্লাহ শ্লোগান দেন মঞ্চে, মাইকে এনসিপি থেকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছিলো শিবিরের বড় বড় মিছিল এসে যোগ দিলো বলে, ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজতের বড় একটা মিছিল এসে যোগ দিলো, এইভাবে বলা হচ্ছিলো, কিন্তু বিএনপির কোনো পাত্তা নেই।

ছাত্র জনতা খুব মন খারাপ করেছিলো, বড় দল হিসেবে সমর্থন টা চাচ্ছিলো অন্তত, কিন্তু শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল ও সন্ধ্যা নাগাদ লাখো জনতার শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শাহবাগ। শ্লোগান ভাইরাল হয় "লীগ ধর জেলে ভর"।

রাতে অনেকেই বাসায় চলে যায় রেস্ট নিতে, আবার শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় লোক বাড়তে, বিকেল ৩ টায় হাসনাত আব্দুল্লাহ গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল আগে থেকেই। আবারো লোকে লোকারণ্য হয়ে গেলো শাহবাগ। আসর নামাজের পর সন্ধ্যার আগে জানা গেলো উপদেষ্টা মন্ডলীর বৈঠক বসবে মাগরিব নামাজের পর নিষিদ্ধের বিষয়ে।

রাত ৮.৩০ এর দিকে হাসনাত এক ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়, এর ব্যত্যয় ঘটলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল এর পাশে নিষিদ্ধ যমুনার মুখে ব্লকেড দেয়া হবে, এক ঘন্টা পার হওয়ার পর সত্যি মিছিল নিয়ে সবাই চলে যায় যমুনার মুখে আবারো।

মিরপুর থেকে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিশাল একটা মিছিল আসা শুরু হয় ঢাকা উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন ও সেক্রেটারী রেজাউল করিমের নেতৃত্বে, "আমরা মিনিট না সেকেন্ড গুনতেছি, কেন এখনো নিষিদ্ধ হলোনা" এমন বক্তব্য দেন সেলিম উদ্দিন। তারপরই মিছিল নিয়ে রওয়ানা দেন।

মিছিলের ফুটেজ কাটাকাটি শেষ করে নিউজ টা দেয়ার আগেই ঘোষণা চলে আসে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ, এর মধ্যে কিন্তু বিএনপির কোনো দেখা নাই, তোমার দেখা নাইরে তোমার দেখা নাই, এই রকম আর কি। এখন আগামীতে দেখতে চায় বিএনপি এইবারের আন্দোলন নিয়ে কি বলে? তাদের আন্দোলনের ফসল বলে নাকি যাত্রাবাড়ি থেকে "ধর ধর" বলার সাথে সাথেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে গেলো বলে? দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

মতামত- সেলিম সোহেল, লেখক, সাংবাদিক।

এমএসএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর