বাংলাদেশ থেকে ভারতের আধিপত্যকারীদের রাজনীতি কবর হয়েছে: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আমীর শাইখুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আধিপত্যকারীদের রাজনীতি কবর হয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ছিনতাই করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর ২০২৫ সালে স্বাধীনতাকে ছিনতাই করার চেষ্টা করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আমরা বলতে চাই এবার আর ৭২ আর ৭১ এর চেতনা হারাতে দেয়া যাবে না। এবং ২০২৪ এর বেশিরভাগ দেশ বিরোধী চেতনারকে বাংলাদেশ থেকে যেভাবে বিদায় করা হয়েছে এই চেতনাকে আর কোনদিন বাংলার মাটিতে জন্ম দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও তার খুনি মন্ত্রীসভা এবং তার প্রশাসনের রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হেলিকপ্টার অস্ত্র ব্যবহার করি দেশের ছাত্র জনতাকে খুন করেছে।
রোববার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার এবং প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে, এই বাকশালের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে, তাদেরকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আখ্যায়িত করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এক শাসনতন্ত্র করতে করতে ২০২৪ সালে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। যখন ৪ কোটি ছাত্র জনতা এই হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে তখন হাসিনা চার কোটি ছাত্রকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী চেড়ে বসে আমাদের আগামীর প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করবার চেষ্টা করে রাজাকার বলে গালি দেন তখন এদেশের তরুণ প্রজন্ম বলতো অধিকার চাইতে গিয়ে রাজাকার হতে হয়। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বললে যদি রাজাকার হতে হয়। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে যদি রাজাকার হতে হয়। তখন গোটা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র জনতা আওয়াজ তুল্যো তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার। সেদিনে এই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে। ৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসার মার্কেট থেকে আউট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে হত্যা করে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসে প্রমাণ করে দিল। এদেশে সংগ্রামী ইতিহাস হয়ে গেল। যখন তারা জীবন দিতে শুরু করলো, তখন ছাত্র জন তারা বিজয় না নিয়ে ঘরে ফিরলো না। ছাত্র জনতার বিজয় হলো শেষ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রংপুর জেলার সভাপতি ক্বারী মুহাম্মদ আতাউল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: