আ.লীগ নিষিদ্ধসহ জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৪ পিএম

জুলাই বাঁচার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বাঁচবে কিনা। জুলাই না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না, জুলাই বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে 'জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে'র দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, গণহত্যার বিচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশে আর কী ছিল? বর্তমানে সেটা না করে জুলাইয়ের রক্তের উপর দাঁড়ানো সরকার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। সরকার যেন গণহত্যার বিচার ও আ. লীগ নিষিদ্ধ করতে পারে সেজন্য আমরা শত সমালোচনা সত্ত্বেও সরকারের ডান হাতটা ধরে রেখেছিলাম। সরকারকে কখনো বিব্রত হতে দেইনি।

ড. ইউনুস একাই পুরো সরকার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারের কাজ খাল-নদী খনন করা না। আগামী ২০ বা ৩০ বছর নদী না খনন করলে বাংলাদেশ মরে যাবেনা, তবে গণহত্যার বিচার না করলে বাংলাদেশ মরে যাবে। জুলাই বাঁচার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বাঁচবে কিনা।

বিভিন্ন সংস্কার কমিশন নিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, জুলাই না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না সেই প্রশ্নে যখন এই সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বারবার মিটিং হওয়ার কথা যেখানে গণহত্যার বিচারটা কত দ্রুত নিশ্চিত করা যায়, লীগকে কীভাবে নিষিদ্ধ করা যায়, তারা এসব না করে আরো ১০টা কমিশন করেছে। তারা নারী কমিশন করেছে। এই নারী কমিশনের কোন নারী জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও প্রশ্নে তুলেন তিনি।

আ. লীগের ঝটিকা মিছিলগুলোতে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাত রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় মিছিল দেয়। সরকারের একটি অংশ ও এজেন্সির একটি অংশ সহযোগিতা না করলে তারা মিছিলের সাহস পেতো না। শুধু তাই নয়, মিছিলে তারা সংসদীয় আসনের বিষয়টি আনছে। যার অর্থ আগামী নির্বাচনে গুড আওয়ামী লীগকে সামনে আনবে।

বিচার ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের জন্য নতুন করে বেঞ্চ বাড়ানো হয়নি কেন এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে। এখানকার পুলিশেরা এতটাই অদক্ষ যে - আসামিদের পুলিশ ধরতে পারেনা, আইনজীবীদের দৌঁড়ে গিয়ে আসামি ধরতে হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আরো ১০টা ট্রাইব্যুনাল কেন করা হয়নি- এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়ে গত ১৬ দিন আমরা লিফলেট বিতরণ, প্রচারণা চালিয়েছি। রাজশাহীতে শহীদদের কবরে নামফলক পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই অবহেলা কেন? এসময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণ কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে আদালতে মামলা করবে? আ.লীগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র নিজে মামলা করে না কেন? আপনারা চেয়ারে বসে কী করেন- এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন তিনি। এসময় অতিদ্রুত পিলখানা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত করার দাবিও জানান তিনি।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর