আগামী নির্বাচনের আগেই প্রবাসী ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি

আগামী নির্বাচনের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ ইউকে। সংগঠনটির উদ্যোগে গত সোমবার লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম কোর্টের বিচারক মুহাম্মদ বেলায়েত হোসাইনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার নাজির আহমদ। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের আহ্বায়ক বিচারক মুহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম শাহিন, ব্যারিস্টার ইকবাল হোসাইন, সিনিয়র সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্যসচিব ব্যারিস্টার বদরে আলম দিদারসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন বলেন, ভোট প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে প্রবাসীরা ভোটের অধিকার প্রয়োগের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। সব সরকারই আশ্বস্ত করে কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করেনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যাতে এই অধিকার বাস্তবায়ন হয় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেড় কোটির বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। তাদের ঘাম ঝরানো আয় হচ্ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত। অথচ এই প্রবাসীদের ভোট দিয়ে সরকার গঠনে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ নেই। দেশের এক-দশমাংশ মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৫ আগস্ট বিপ্লবোত্তর সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। প্রবাসীদের এই মৌলিক দাবিটি সংস্কারের আওতায় নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে- এটাই প্রত্যাশা বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের।
বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, রাজপরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে পুরস্কৃত করে সম্মানিত করা হবে। এতে গোটা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও সম্মানিত বোধ করছেন।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সরকার আন্তরিক হলে প্রবাসীরা যে যেই দেশেই থাকুন, সেখান থেকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা সময়ের ব্যাপারমাত্র।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এই মৌলিক অধিকারের দাবি অন্য দেশগুলো পূরণ করেছে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, আমেরিকা ও তুরস্কের নাগরিকরা যে দেশেই বসবাস করেন না কেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের। প্রত্যেক দেশের দূতাবাসগুলো বিভিন্ন দেশে তাদের নাগরিকদের ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: