তারেক রহমানকে গালি দিয়ে জামায়াতের পক্ষে স্লোগান বিএনপি নেতার
আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১:১৪ এএম

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির স্থানীয় এক নেতা তারেক রহমানকে গালি দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
২৭ সেকেন্ডের অডিওটিতে শোনা যায়, ওই নেতা বিএনপির আদর্শ ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। একইসাথে জামায়াতকে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলাম জিন্দাবাদ।
অভিযুক্ত মো. সুমন হাতিয়া উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নোয়াখালীর সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
এদিকে বিএনপি নেতার এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর দলের অভ্যন্তরে যেমন ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, তেমনি প্রতিপক্ষ দলগুলোও বিষয়টিকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই বলছেন, এটি ‘ব্যক্তিগত মত’ হলেও দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি। এমন বক্তব্য আমাদের ব্যথিত করেছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি যেহেতু সকল কমিটি বিলুপ্ত করেছে, সেহেতু সুমন এখন আর কোনো কমিটির অংশ না। তারপরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, ব্যক্তিগত হতাশা থাকতেই পারে, কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় চেয়ারপারসনের পরিবারকে গালাগালি এবং প্রতিপক্ষ দলকে সমর্থন জানানো সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
মতামত জানতে মো. সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ পাঠানো হলেও সাড়া মেলেনি, ফলে তার বক্তব্য যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভির হায়দার তান্না বলেন, অডিওটা আমিও শুনেছি। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলে সে অস্বীকার করেছে, বলেছে অডিওটি তার নয়। সে নেশাও করে না। মনে হচ্ছে ঘুমের মধ্যে বলা কোনো কথা। তারপরও আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। আপনাকে পরে জানানো হবে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমি অডিওটি শুনিনি। তবে যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তাহলে তা দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও জানান, গত সোমবার (২৬ মে) দুপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা বিএনপির অধীনে থাকা সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তাই আমাদের কোনো কমিটি নেই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: