উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩২

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৭ এএম

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৫ জন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও শিক্ষার্থী। গুরুতর দগ্ধ অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৯ বছর বয়সী শিশু আরিয়া নাশরাফ নাফির মৃত্যু হয়। তার ৯৫ শতাংশ শরীর দগ্ধ ছিল বলে নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

এর আগে নিহতদের মধ্যে ছিল তার বড় বোন নাজিয়া তাবাসসুম নিঝুম (১৩)।

আইএসপিআর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তালিকায় ২৭ জন নিহতের কথা বলা হয়, যাদের মধ্যে ২৩ জন শিশু। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২-এ পৌঁছায়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি।

২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, ৬টি রাখা হয়েছে সিএমএইচের মর্গে। নিহত বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে।

আইএসপিআরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আহতদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন-

বার্ন ইনস্টিটিউট: ৪৬ জন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ৩ জন
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল: ৮ জন
সিএমএইচ: ২৮ জন
লুবনা জেনারেল হাসপাতাল: ১৩ জন
উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: ৬০ জন
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: ১ জন
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ: ১ জন
ইউনাইটেড হাসপাতাল: ২ জন
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: ৩ জন

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২ জনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও, এইচডিইউতে থাকা অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও ৩০ জন গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

চিকিৎসায় দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও বার্ন সার্জনদের বিশেষ দল যুক্ত হয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনারও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর