সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি জটিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৪ এএম

‘সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি জটিল’-মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ে এ মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সীমান্ত পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি। সীমান্তের নানা ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট নিয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সতর্ক।

তিনি বলেন, ‘এখন দেখতে হবে, আরাকান আর্মি অনেক দিন ধরেই লড়াই করছে। তাদের কেউ কেউ এই পাশে এসে বিয়ে করেছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে ভিডিওতে যেভাবে বিষয়গুলো আসছে, বাস্তবতা সবসময় সেরকম নয়।’

‘টিকটক ভিডিও নানা উপায়ে বানানো যায়,’ যোগ করেন তিনি। ‘সব ভিডিও যে সত্য, তা নয়। আবার সব মিথ্যাও নয়। এসব বিষয় ব্যালেন্স করে দেখতে হবে।’

উপদেষ্টার ভাষ্য, সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি জটিল।

তিনি বলেন, ‘আরাকান ওই বর্ডারটা ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি ঠিকই কিন্তু ওই সীমান্তের অনেক অংশ আরাকান আর্মির দখলে। এখন মিয়ানমার থেকে কিছু আনতে হলে সরকারকে যেমন ট্যাক্স দিতে হয়, তেমনি আরাকান আর্মিকেও অর্থ দিতে হয়। পাহাড় এখন অনেক শান্ত, আগে ল্যান্ডমাইনেই উড়ত গাড়ি পাহাড় অশান্ত কি না? এমন প্রশ্নে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। ‘আমি পাহাড়ে তিনবার চাকরি করেছি, ক্যাম্প কমান্ডার, সিও, বিগ্রেড কমান্ডার হিসেবে। সেই সময়ের তুলনায় এখন পাহাড় অনেক শান্ত। আগে তো বাঘাইহাটে ল্যান্ডমাইন দিয়ে গাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হতো, মানুষ মরতো। তখন খবরও আসত না। এখন আপনারা সাজেক যান, এটা বড় পরিবর্তন।’

রাউজানে খুনখারাবি ও পাহাড়-সমতলের সন্ত্রাস প্রসঙ্গেও খোলামেলা কথা বলেন তিনি। ‘ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া- এই এলাকাগুলোতে পাহাড় ও সমতলের মিশ্রণ রয়েছে। এখানে অনেক সময় সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে পাহাড়ে চলে যায়। কেউ যদি প্রকাশ্যে কোনো অপকর্ম করে, আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

যৌথবাহিনীর অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভিযান থেমে নেই, বরং আগের চেয়ে বেশি সমন্বিতভাবে চলছে। আপনাদের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’

গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই প্রকাশ করুন। এতে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। তবে কখনো কখনো দেখা যায়, সত্য না জেনে কিছু রিপোর্ট হয়। পরে দেখা যায়, তথ্য ভুল ছিল। এতে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয় এবং প্রতিবেশী দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো সেটা ব্যবহার করে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর