৫ আগস্ট সরকারের মতবিনিময় কর্মসূচি বয়কট করা উচিত: সারজিস

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ৫ আগস্টে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে শহীদ পরিবারদের মতবিনিময়ের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, সব শহীদ পরিবারের উচিত ওই প্রোগ্রাম বয়কট করা।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের প্রায় ১ বছর হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাসহ সব শহীদ পরিবারের সঙ্গে একবারের জন্য মতবিনিময় করতে পারেননি। এই জুলাই-আগস্টে পরিকল্পনা করেও সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ৫ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে শহীদ পরিবারদের মতবিনিময়ের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, সব শহীদ পরিবারের উচিত ওই প্রোগ্রাম বয়কট করা।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি ১ বছরে এক হাজারের মতো শহীদ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একবার একসঙ্গে বসার সক্ষমতা না রাখে, তাহলে এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কি হতে পারে?’
এদিকে ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকারের জন্য আমরা দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। এরপর এখনো আমাদের নির্বাচনের জন্য দাবি জানাতে হয়। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ উদ্যোগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দোসরদের বিচারের দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উঁকিঝুঁকি মারে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। দ্রুত নির্বাচন হলে দেশে বিদ্যমান সংকট থাকত না। তাই সরকারের উচিত, অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা। যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, সংকট আরও বাড়বে, যা দেশবাসীর জন্য সুখকর হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে তার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবেন, জনগণের কাছে প্রশংসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।’
ফারুক রহমান আরও বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশ আজ লাইফ সাপোর্টে। স্বাস্থ্য খাতের আজ করুণ পরিণতি। এ জন্য দায়ী পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।’
এ সময় গুম-খুন ও জুলাই গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির এই চেয়ারম্যান।
নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এতে সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: