ইন্টারনেট খাত থেকে ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক প্রভাব ছেঁটে ফেলা হবে

ইন্টারনেট খাত থেকে ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক প্রভাব ছেঁটে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি ও টেলিকম বিষায়ক বিশেষ সহকারি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, আগামী জুন থেকে শুরু হবে ডিরেগুলেশন। ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক প্রভাব ছেঁটে ফেলা হবে। এ জন্য ডিজিটাল সেবা বাড়াতে হবে। আইওটিতে নজর দিতে হবে। এই সেবার পথে বাঁধা গুড়িয়ে দেয়া হবে।

শনিবার সকালে দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের ইন্টারনেটের কোয়ালিটি বিবেচনায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় দাম সবচেয়ে বেশি। এখনো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগের জন্য আলাদা ইন্টারনেট ব্যবস্থা নেই। তাই বৈশ্বিক মানে নিজেকে বিবেচনা করতে পারি না। এজন্য আমাদের প্রথম উদ্যোগ টপোলজি পরিবর্তন। আমরা অনেকগুলো লাইসেন্স তুলে ফেলবো।

তিনি আরও বলেন, লাইসেন্স লিমিটেড থাকবে না, লাইসেন্সের শর্ত পূরণের জন্য সময় দেওয়া হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা পূরণে ব্যর্থ হলে জরিমানা করা হবে। আগামী দুই বছরে বৈশ্বিক সব সূচকে ৩০ এর মধ্যে আনা হবে। এই কাজে নীতি হাল নাগাদে যারা টাকর বস্তা নিয়ে প্রভাবিত করবে তারা নিজেদেরই ধ্বংস ডেকে নেবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পিছনের দিকে হাঁটছি না। আমরা বার্তা দিতে চাই, আপনারা যারা ব্যবসায়ী তারা ব্যবসা করেন। আপনারা রাজনৈতিক বা ইনফ্লয়েন্সারদের কাছে যাবেন না। আমরা চাই ভয়েস ওভার ওয়াইফাই দ্রুত আসুক। আউট ডোরের উপর থেকে ইনডোরে নিয়ে আসি। যাতে কোয়ালিটিটা নিশ্চিত করতে পারি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, আমরা সবাই শুধু নিজের স্বার্থ দেখে এসেছি। আমরা চাই একটি ক্যাটাগরির লাইসেন্স আরেকটি ক্যাটাগরির সাথে সমন্বয় করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করুক। তাই নেটওয়ার্ক টপোলজি ও একটিভ শেয়ারিংয়ের ফরম নিয়ে আলোচনা করছি। এক দেশ এক রেট নিয়ে আমরা আবার কাজ করবো।

গোলটবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন টিআরএমবি সভাপতি সমীর কুমার দে। এসময় অন্যানের মধ্য বক্তব্য রাখেন এসোসিশেয়ন অব মোবাইল টেলিকম মোবাইল টেলিকম অপারেটর অফ বাংলাদেশের (এমটওব) সিকিউরিটি জেনারেল লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ জুলফিকার ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) প্রেসিডেন্ট এমদাদুল হক প্রমুখ।