জেলা পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান ভালো করতে হবে: স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী
দেশের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্ট্রালাইজড হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল রয়েছে ভালো সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নীলফামারী, ঠাকুরগাঁওয়ের কোন রোগী হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করলো, তাকে সিপিআর দিয়ে বাঁচানো হলেও ঢাকা পর্যন্ত আসতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তাই ভালো চিকিৎসার জন্য অবশ্যই জেলা শহরগুলোতেও চিকিৎসা সেবার মান ভালো করতে হবে। এজন্য চিকিৎসা সেবাকে সারা দেশেই ডিসেন্ট্রালিজড করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ডায়াগনস্টিক মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট এক্সপ ‘র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) মহাসচিত ডা. মইনুল আহসান।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই মেলায় চীন, জাপান, পাকিস্তান, ভারত, কোরিয়াসহ বিশ্বের দ্রুই প্রায় দুই শতাধিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারক কোম্পানী তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ফার্মেসি থাকার ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী বলেন, ‘দেশের হাসপাতালগুলোতে ফার্মেসি থাকতে হবে। তবে সেগুলো যেন ওষুধের দোকান না হয়ে ওঠে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেজিস্ট্রেসি সেক্টরটি খুবই জটিল। ডায়াগনস্টিক ও চিকিৎসা সেবার জন্য প্রশাসনের সাথে মেডিকেল ইন্সপেক্টর থাকতে হবে। ডায়াগনস্টিকের ক্ষেত্রে একই মেশিন বেসরকারি ও সরকারি ক্ষেত্রে একরকম হয়না। বাংলাদেশের সবকিছুর দাম যদি জানা যায় তাহলে কেন কেন যন্ত্রপাতির দাম জানা যাবেনা?’
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘সকল ধরনের রেইডে স্বাস্থ্য ইন্সপেক্টর থাকা উচিত। সাথে রেফারেল সিস্টেম ঠিক করা উচিৎ। একজন ডাক্তারকে দিনে ১০০ রোগী দেখতে হচ্ছে, এতে রোগী কষ্ট পান। এগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অ্যা‘ম্বুলেন্স সার্ভিস নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। এখানে যারা গাড়ি চালান তারা কতটুকু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত? ঠিকঠাক সেবা দেবার সামর্থ্য রাখেন কিনা সেটা জানতে হবে। চিকিৎসার শুরুটাই হয় অ্যাম্বুলেন্স সেবার মাধ্যমে। নয়তো এটা কেবল একটা মাইক্রোবাস হয়ে উঠবে।’
আয়োজকরা বলছেন, এই মেলায় সেমিনার এবং নির্মাতাদের সাথে সরাসরি ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী থেকে কাস্টমার যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ডায়াগনস্টিক চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও এর ব্যবহার এবং নবনির্মিত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন, সাথে বাজার সম্ভাবনাও প্রসারিত হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং প্রযুক্তিতে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার যাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: