বিসিবি সভাপতির নির্বাচনি চিঠি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল জারি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিসিবি সভাপতির চিঠি কেন অবৈধ নয়, এই বিষয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এই বিষয়ে রিটের শুনানির পর রুল জারি করেছেন। এর আগে টাঙ্গাইলের তপন, লক্ষীপুরের কামরুল, গোপালগঞ্জের খসরু ও রাজবাড়ীর দুলাল বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেছেন।
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। তার আগে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর মনোনীত হয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসিবিতে ফর্ম জমা দিয়েছিলেন সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা। তবে এডহক কমিটি থেকে যেসব জেলা ক্রীড়া সংস্থা কাউন্সিলরের জন্য মনোনয়ন দেয়নি তাদের আবেদন বাতিল করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সেই সঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পরিবর্তে নতুন করে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর দিতে বলেছেন বিসিবি সভাপতি। যা নিয়ে গেল দুইদিন বেশ জোরেশোরে আলোচনা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষরে ৫৪টি ফর্ম জমা পড়েছে বিসিবিতে। বেশ কয়েকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা এডহক কমিটির বাইরে গিয়ে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ঘোষিত অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর না দেওয়ায় সেগুলো বাতিল করেছেন বিসিবি সভাপতি। পরবর্তীতে নিজে স্বাক্ষর করে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়েছেন বুলবুল। যদিও এটা করার সুযোগ নেই। গঠনতন্ত্রের ১২.৭ ধারা অনুযায়ী পুনরায় কাউন্সিলর পাঠানোর সুযোগ নেই। এ ছাড়া বিসিবি সভাপতিও এমন নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।
এদিকে, বিসিবির ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে। বিসিবির গঠনতন্ত্রে ১৭১ জন কাউন্সিলরের ৭৬ জনই ঢাকার ক্লাব থেকে আসেন। আবার বোর্ডের ২৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জন আসেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে। বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে আসেন ১০ জন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ক্যাটাগরিতে আসেন একজন এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটায় ২ জন আসেন। এরপর নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে বিসিবির সভাপতি বেছে নেওয়া হবে।
এবার নতুন করে বেশ কয়েকজন বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে তামিম ইকবাল এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুল হেভিওয়েট প্রার্থী। বিসিবির সভাপতি পদেও তারা লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদও। পরিচালক পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: