১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা সেই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীতে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি কল রেকর্ড ফাঁসের ঘটনায় মামলা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরশুরাম উপজেলা প্রতিনিধি নাহিদ রাব্বি ও চাকরিপ্রত্যাশী আব্দুল কাদেরকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত নাহিদ রাব্বি পরশুরাম পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোলাপাড়া গ্রামের নূর নবীর ছেলে। ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। শুক্রবার (২০ জুন) পরশুরাম মডেল থানায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ইফতেখার হাসান ভূঁইয়া বাদী হয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি ও চাকরিপ্রত্যাশীকে আসামি করে মামলা করেন।
এর আগে ছড়িয়ে পড়া ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ওই কল রেকর্ডে নাহিদকে বলতে শোনা যায়, লিখিত পরীক্ষার আগে বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) মধ্যে ৪ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। বাকি টাকা পরীক্ষার পরে দিতে হবে। এ সময় চাকরিপ্রত্যাশী অপর পাশের ওই ব্যক্তি ১-২ লাখ টাকা কম দিতে চাইলে নাহিদ বলেন, ১০ লাখ টাকা থেকে এক পয়সাও কম হবে না।
তখন চাকরি পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করবেন বললে নাহিদ রাব্বি বলেন, প্রথমে একটা অ্যামাউন্ট না দিলে তো সে উল্টে যাবে। স্ট্যাম্প করা হবে, তোরে স্ট্যাম্প দিয়ে দেবে। আমার হাতে থাকবে সব, আমার মাধ্যমেই কাজ করবে। এ সময় ওই চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ভাই আপনি ওই ভাবে করে দেন, উল্টাবে না। তখন নাহিদ রাব্বি বলেন, সেই ভালোবাসা বাংলাদেশে নাই।
পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল (শুক্রবার) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ১১৫টি পদে অন্তত ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: