সাময়িক যুদ্ধবিরতিতেও গাজায় নিহত ৬৩

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৭ এএম

ইসরায়েলি সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও থামেনি গাজায় হামলা। একদিনেই সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ।

রোববার (২৭ জুলাই) গাজার খান ইউনিস, বনি সুহেলাসহ কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েল জানায়, তারা গাজার কিছু অংশে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি দেবে। নতুন মানবিক করিডোরও খোলা হবে, যাতে জাতিসংঘের ত্রাণ সহজে প্রবেশ করতে পারে।

তবে বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার দিনই এত প্রাণহানিতে হতবাক স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এই বিরতি কাগজে-কলমে থাকলেও মাটিতে কার্যকর হচ্ছে না।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আকাশপথে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে এবং আরও সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধ থামানো ছাড়া এই সংকটের সমাধান হবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজায় অপুষ্টি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পাঁচ বছরের নিচে প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। শুধু জুন মাসের পর থেকেই এই সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। সংস্থাটি বলছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণে বাধা ও বিলম্বই এই সংকট বাড়াচ্ছে।

এদিকে, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত রোববার গাজায় তিন দফায় বিমান থেকে ত্রাণ পাঠিয়েছে। মোট ২৫ টন খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় জর্ডানের সেনাবাহিনী।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির অগ্রগতির পথে বাধা দিচ্ছে হামাস। ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়ার বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

অন্যদিকে, হামাস নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, গাজায় যদি অবরোধ ও অনাহার চলতেই থাকে, তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনা অর্থহীন।

সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় আন্তর্জাতিক মহলে আশার সঞ্চার হলেও গাজায় বাস্তব পরিস্থিতি বলছে অন্য কথা—মানুষ এখনও মরছে, ত্রাণের অপেক্ষায় থেকেও পাচ্ছে না বাঁচার উপায়।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর