নানা আয়োজনে ইবিতে ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১১ পিএম

ইবি প্রতিনিধি: হাটি হাটি করে দীর্ঘ ৪৬ বছর পেরিয়ে ৪৭ এ পা রেখেছে স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। শনিবার (২২ নভেম্বর) ইবি প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্যভাবে এ দিনটি উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বেলা ১১ টা নাগাদ নিধার্রিত ব্যানারসহ সকল বিভাগ, দপ্তর, ইনস্টিটিউট, হলসমূহ ও ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে উপস্থিত হন। এরপরপরই জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আলীনূর রহমান। 
 
পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। 
 
কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রতিটি বিভাগ ও হলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। 
 
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রযায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সকল বিভাগ, অফিস, হলসমূহ ও ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ তাদের নিজস্ব ব্যানার এবং রোভার স্কাউট গ্রুপ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করবে। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তর চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
 
পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
 
এছাড়াও বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইরানী চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আজকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এবং পরিবেশের দিক থেকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত থাকবে রাখবে।
 
উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে মেইন গেট, প্রশাসন ভবন, ভিসি বাংলো, ভিত্তিপ্রস্তর ও ডায়না চত্বর ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর (৩ দিন) আলোকসজ্জিত করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান-প্রধান সড়কে আলপনা অঙ্কন ও রঙিন পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর