তথ্যের গড়মিল : সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নোবিপ্রবির সহকারী রেজিস্ট্রারের

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:১১ পিএম

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এস্টেট ও হাউজিং শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও তথ্য গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে।বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কতজন গার্ডেনার কর্মরত আছেন জানতে তথ্য সংগ্রহে গেলে ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। প্রশ্ন করতেই তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এই বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারব না, রেজিস্ট্রারের কাছে যান।”
পরবর্তীতে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোসাইন চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি জানান, বর্তমানে গার্ডেনার আছেন নয়জন এর মধ্যে তিনজন অনুপস্থিত ও ছয়জন মাঠে কর্মরত।
তবে বিষয়টি পুনরায় জানতে সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুল হামিদের কাছে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বলেন, “সাংবাদিকদের অফিসিয়াল তথ্য দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই, লিখিত আবেদন দিলে রেজিস্ট্রার জানাবে।” এরপর তিনি দাবি করেন, “আজ পাঁচজন ছুটিতে আছেন, চারজন গোলচত্বর এলাকায় কাজ করছেন”। কিন্তু সরেজমিনে গোলচত্বর ঘুরে দেখা যায়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুইজন কর্মী। বাকিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, আমি সাংবাদিকদের সাথে কোন অসৌজন্যতামূলক আচরণ করিনি এবং আমি কোন প্রকার খারাপ ব্যবহারও করিনি।‌ অফিসিয়াল কোন তথ্য দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। আপনার কিছু জানার থাকলে রেজিষ্ট্রার বরাবর আবেদন করবেন, রেজিষ্ট্রার তখন আমাদের জানাবে যে এটা উনাদের দেন, এছাড়া আমরা দিতে পারিনা। ওইদিন ৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন এবং ৪ জন গোলচত্বর সংলগ্ন এলাকায় ছিলেন। গোলচত্বর সংলগ্ন এলাকায় সবাই না থাকলে হয়তো আশেপাশে ছিলো বা থাকতে পারে।
কিন্তু অভিযোগকারী সাংবাদিক জানান, সহকারী রেজিস্ট্রার দুইবার দুই কথা বলছেন। প্রথমবার তিনি বলেছেন তথ্য দিবে রেজিস্ট্রার, কিন্তু পরবর্তীতে সুর পালটে বলেছেন রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করলে রেজিস্ট্রার বলার পর সে তথ্য দিবে। এছাড়াও, তারা এবং রেজিস্ট্রারের তথ্যেও ছিলো গড়মিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রার  (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোসাইন চৌধুরী জানান, 
এটা আমরা তদন্ত করে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিবো। 
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, 
যেকোন তথ্য উক্ত দপ্তরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা দিবে। যেগুলো প্রশাসনের একদম ভিতরের তথ্য সেগুলোর জন্য আবেদন করতে হবে। যদিও উক্ত বিষয়টি সিলি বিষয় ছিলো। লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবো। 
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, “যখন একটি সাধারণ তথ্য জানতে চাওয়ায় একজন কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন, তখন প্রশাসনের স্বচ্ছতা কতটা নিশ্চিত?”

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর