শিক্ষার্থীদের নামে উপাচার্যের মামলা, উত্তাল ববি ক্যাম্পাস

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের মামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন শিক্ষার্থীরা। গতি পেয়েছে চলমান ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা করাসহ চার দফার আন্দোলনও। শিক্ষার্থীরা এবার ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় মশাল মিছিল শেষে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পূর্ব ঘোষিত ৪ দফা দাবি হলো- ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা প্রার্থনা, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাকে সিন্ডিকেট-একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা, আওয়ামী লীগের পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করা এবং ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মচারীদের অপসারণ করা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চার দফা দাবিসহ শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তারা বার বার দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার থাকায় শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
গতকাল রাত সাড়ে ১১ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে কোনো করতে রাজি হননি। এর পরও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বার বার আলোচনার চেষ্টা চালানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সাড়া না পাওয়া পর্যন্ত তারা তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপে সড়ক ছাড়বেন না বলে জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ববি শাখার আহবায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর সর্বসম্মতিক্রমে চলমান এক সপ্তাহের চার দফা আন্দোলন দমনের জন্য ফ্যাসিস্ট আমলের মতো জিডি, হামলা-মামলা করে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে ববি কর্তৃপক্ষ। মিথ্যা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দিচ্ছে। এমনকি যারা যৌক্তিক এসব আন্দোলনে আসেনি, তাদেরও আসামি করা হয়েছে। এভাবে মামলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলা এবং স্বৈরাচার আমলের যে চর্চা নিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে এই মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনিকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কোনো রেন্সপন্স করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনকেও একাধিক বার কল করা হয়। তিনিও সাড়া দেননি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: