এনসিপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৫ ২১:০৭ পিএম

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলায় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে সমবেত হয়। এসময় মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এতে ঘণ্টাখানেক যানযট সৃষ্টি হয়।
এসময় 'কন্ঠে আবার লাগা জোর, মুজিববাদের কবর খোড়', 'ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামীলীগ নো মোর; ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, নাহিদ ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, আবু সাঈদ' ওয়াসিম, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় সমন্বয়কম এস এম সুইট বলেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করে যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি শক্তিকে পরাজিত করেছিলাম সেভাবে আমাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্বৈরাচার ফিরে এলে সবাইকে বিনাশ করতে বিন্দুমাত্র ভাববে না। আওয়ামী প্রীতির জন্যই আজ গোপালগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। একবছর পরেও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জের এসপি ও ডিসি প্রত্যাহার করতে হবে অতিদ্রুত। গোটা বাংলাদেশে ছাড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের নেতাকর্মীরা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। ইন্টিরিমকে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মবের মধ্যে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বুঝা যায় যে, ইন্টিরিম যদি পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার না করে তাহলে দেশে অচিরেই গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অতিদ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে বলেন, অনতিবিলম্বে সেই মিছিলে (৪ আগস্ট, ২০২৪) বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের নেতৃত্বদানকারী সকল শিক্ষক নেতৃত্ববৃন্দ এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সিন্ডিকেট বসিয়ে তাদের ও তাদের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা করা হয়।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: