বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ ও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের পাঁচটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসন ও সরকারকে আহ্বান জানান। প্রথম দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয় দাবি, টেকনিক্যাল দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তৃতীয় দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এই মর্মে আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
এ সময় ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির আমিন বলেন, "ডিপ্লোমা দশম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে দেখা যাচ্ছে ডিপ্লোমা ১০০% এবং নবম গ্রেডের সরকারি সহকারী প্রকৌশলী চাকরিতে দেখা যাচ্ছে ৩৩% কোটা। দিন কে দিন যদি এভাবে ডিপ্লোমা কোটা বৃদ্ধি পেতেই থাকে তাহলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান কেন হয়েছে? যে আন্দোলনের মূল অঙ্গীকার ছিল কোটার বিরুদ্ধে, তার পরও এই স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে কোটা বিরাজমান। সারা বাংলাদেশে ন্যায় আজ ৩ দফার ভিত্তিতে আমরা আজ এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি। যতদিন পর্যন্ত না এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হবে, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।"
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ সৈকত বলেন, "আমরা শুধু হা-হুতাশ করি যে, বুয়েট থেকে বা বিভিন্ন ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়াররা বাইরে চলে যায়, মেধা পাচার হয়ে যায়। তারা কেন যাবে না? আমাদেরকে তো দেশের জন্য কাজ করার সুযোগই দেওয়া হয় না। যদি আমরা তার জায়গায় অযোগ্যদের জায়গা দিই, তাহলে তো দেশ এগোবে না। আমরা প্রকৌশলীরা চাই দেশের জন্য কিছু করতে। আমাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হোক। কোনো অযৌক্তিক কোটা প্রথা যেন আমাদের বাধা সৃষ্টি না করে। যোগ্যরা যেন যোগ্য স্থানে যেতে পারে, সে জন্য প্রশাসন ও সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।"
এ সময় শিক্ষার্থীরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদভুক্ত পাঁচটি বিভাগকে আইইবি সার্টিফাইড করার জন্য আহ্বান জানান।
LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: