যারা চাঁদাবাজি করে তাদেরকে সামনে আসতে দেব না: মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ০১ আগষ্ট ২০২৫ ২১:০৮ পিএম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা লুটপাট করে, যারা ব্যাংক লুট করে, চাঁদাবাজি করে, যারা মানুষের সম্পত্তি দখল করে নিয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রকমের আপস থাকবে না। তাদেরকে আমরা কখনোই স্বীকার করব না এবং তাদেরকে কোনো মতেই সামনে আসতে দেব না।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা বিরাট ভয়ংকর একটা ফ্যাসিবাদের হাত থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি। এই মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে যখন তাদেরকে আমরা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবো।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ওপরে যে আস্থা রেখেছিল জনগণ একইভাবে আজ তারা তারেক রহমানের ওপর আস্থা রাখছে। অপেক্ষা করছি, কবে তিনি দেশে আসবেন। কবে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, যেন তিনি অতি দ্রুত দেশে আসেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দেন, সেটাই কামনা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি বলছেন যে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করব। যে বাংলাদেশে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে, ভোট দিতে পারবে, সাধারণ গরিব মানুষ সে গরিব থাকবে না, আস্তে আস্তে সে উন্নতির দিকে যাবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

আগামীতে তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রান্তিক মানুষের জন্য ‘ফার্মার্স কার্ড’, ‘স্বাস্থ্য কার্ড’, ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ইত্যাদি যেসব পরিকল্পনা নিয়েছেন তার কথাও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

এক বছর আগে এই দিনে উত্তরা উত্তাল হয়েছিলে উল্লেখ করে ফ্যাসিবাদী পতনের আন্দোলনের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের শহীদদের পরিবারের বেদনা-কষ্টের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ওপর সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণের সংবাদকে ‘দেশের জন্য ভালো খবর’ অবিহিত করে এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আজ একটা ভালো খবর আছে কয়েকদিন আগে আপনারা দেখেছেন, আমেরিকা আমাদের পণ্যের ওপর ট্যারিফ আরোপ করেছে ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ, আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়ায় বিক্রি হতো না। এখন সেটা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা একটা বড় দায়িত্ব পালন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্তবর্তী সরকারকে অনেকে অনেক কথা বলেন, অনেক ভুল-ত্রুটি আছে, অভিজ্ঞতা নাই বেশি। আমি আশা করেছিলাম যে, এক বছরের মধ্যে আমাদের যারা শহীদ হয়েছে প্রকৃত তালিকা করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। দুর্ভাগ্য তারা পুরোটা করতে পারেননি। কিন্তু তারা চেষ্টা করছেন।

গতকালই (বৃহস্পতিবার) সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আশা করছি, দু’একদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কথা দিয়েছেন যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনটা আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়, একটা নির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনা করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আমার তো যাওয়ারই জায়গা নাই। এখন আমার কোনো সমস্যা হলো, আমি কার কাছে যাব? কোনো এমপি নাই তো? আছে? তাহলে আমি যাব কার কাছে। আমার সমস্যাটা পার্লামেন্টে কে তুলে ধরবে? লোক নাই। কে পার্লামেন্টে আমার দাবি নিয়ে কথা বলবে? লোক নাই। এজন্যই আমাদের দ্রুত নির্বাচন দরকার, খুব দ্রুত পার্লামেন্ট দরকার। যে পার্লামেন্টে আমরা আমাদের কথাগুলো বলতে পারব।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর