পুশইন করতে হলে শেখ হাসিনাকে করুন ভারতকে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের হাজারো সন্ত্রাসীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমরা সীমান্ত দিয়ে পুশইনের বিরোধিতা করেছি। সীমান্তে আমরা কোনো পুশইন মেনে নেবো না। পুশইন করতে হলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পুশইন করুন, শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে শেরপুর শহরের থানা মোড়ে শহীদ স্কয়ারে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরেও আমরা দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গিয়েছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে রয়েছে। আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি কিভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছিল। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, গোপালগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে মুজিববাদকে আমরা দাঁড়াতে দেবো না। যারা এখনো প্রশাসনসহ পুলিশে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করছে তিনি আরো বলেন, শেরপুরে হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসাসেবা নাই, শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নাই, কর্মসংস্থান নাই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিগত আমলে শাসন করলেও শেরপুরে উন্নয়ন নাই। উন্নয়ন পেয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দোসররা, সন্ত্রাসীরা। যারা দেশের টাকা লুটে বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছে।
পথসভায় উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটা সিস্টেম কিছু ধান্দাবাজ, বাটপার, ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। যার কারণে কুলসিত হয়েছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় গিয়েছে সেই লোকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অতঃপর কাল পিটরা আবারো সেই সিস্টেমগুলোকে নতুন করে জেঁকে বসেছে।
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা স্লোগান দেই না ‘নেতা তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’। একটা বিপদ আসলে বুঝা যায় কয়জন রাজপথে থাকে। ভালো সময় থাকলে কর্মীর অভাব হয় না। কিন্তু সঙ্কটের সময় যারা রাজপথে থাকে তারা প্রকৃত কর্মী। আমার হাজার হাজার লাখো লাখো কর্মীর দরকার নাই। যারা আর এই কর্মীগুলোকে নিয়েই আমরা রাজনীতি করতে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, এনসিপি শেরপুরের প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়াসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। পরে এনসিপি নেতারা শেরপুর থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
কোটা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান যার মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে দিল্লিতে পালিয়েছে। সেই দিল্লিতে বসে রয়েছে শেখ হাসিনা। আর এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত পুশইন হচ্ছে, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ভারত সরকারকে বলেছি, সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড মেনে নেবো না, আমরা বিচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: