যে শর্তে এখনই নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত জামায়াত

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২৫ ২৩:০৬ পিএম

জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়ে গেলে জামায়াত এখনই নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং আদালতের রায়ের আলোকে দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক অফিসিয়ালি ফেরত দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি কঠোর বার্তা দেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে শেরাটন, ঢাকা হোটেল আয়োজিত এক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে অবস্থান জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি। এতে সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধি এবং আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে ফ্লেক্সিবল টাইমলাইন ডিসেম্বর টু জুন ঠিক করেছেন, আমরা আমাদের মত ব্যক্ত করেছি যে, এটা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হতে পারে। কোন কারণে এসব শর্ত পূরণ না হলে এপ্রিল পার না হওয়াটা ভাল হবে না। কারণ মে থেকে আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যায়। এটা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। তবে আমরা মতামত দিয়েছি, কিন্তু সময় বেধে দেয়ার পক্ষে নয়। বেধে দিলে সিদ্ধান্তের পর্যায়ে চলে যায়, আমরাতো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

আরেক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা ফেব্রুয়ারি টু এপ্রিল একটা ফ্লেক্সিবল টাইম মেনশন করেছি। আর অন্যদিকে বিএনপি ডিসেম্বরকে স্ট্রিক্ট করেছে। এখন যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, সেখানে আমাদের ভূমিকা কী হবে? ডিসেম্বর কেন, আজকেও যদি... আমি দেখি যে এটা আসলে সমতল মাঠ তৈরি হয়ে গেছে এবং এখন ফেয়ার নির্বাচনের পক্ষে জাতি প্রস্তুত, সব অর্গান প্রস্তুত, সেই নির্বাচনে তো আমরা যাব। আমাদের তো যাইতে কোনো সমস্যা নেই। এটা ডিসেম্বর দিয়ে কোনো কথা না। এই বিষয়গুলো পরিষ্কার না করে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও লাভ হবে না। এজন্য এ বিষয়গুলো পরিষ্কার হওয়া বড় চ্যালেঞ্জ।

বর্তমান ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদী কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, আমরা এখনো আশা-নিরাশার কথা বলছি না। আমরা তাদের পারফর্মেন্স দেখতে চাই। তাদের পারফর্মেন্সেই প্রমাণ করবে তারা কী করবে। এজন্য আমাদের একটা দাবি হলো-তাদের সক্ষমতা ও সদিচ্ছা যাচাইয়ের জন্য এবং জনদুর্ভোগ কমাতে আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫টি বেসিক সংস্কার নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। ৪৫টি সংস্কারের বিষয়ে আমাদের সুপারিশ আছে। কিন্তু এই পাঁচটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। বিচার দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে, এতে আমরা কিছুটা আশাবাদী। জুলাই সনদের কাজ চলছে। জুলাইয়ের মধ্যে এসব কাজ শেষ হলে বাকি কাজ সম্পন্ন সম্ভব। এরপর সুষ্ঠু ভোটের জন্য অবশ্যই সুষ্ঠু ভোটার তালিকা লাগবে। বায়বীয় ভোট ছেটে ফেলতে হবে। প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশের জন্মের ৫৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। একটি স্বাধীন দেশ এবং রাষ্ট্র হিসেবে দুনিয়ার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এই সময় নেহায়েত কম নয়। আমাদের অনেক পরে স্বাধীন হওয়া দেশগুলোও বিশ্বে মর্যাদার আসন পাকাপোক্ত করেছে। কিন্তু আমরা একটি দেশ-সমাজ পাওয়ার পরও কেন তাকে সুন্দর করে সাজাতে পারলাম না? তার উত্তর একটাই-এ সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব যাদের ওপর অর্পণ করা হয়েছিল, তারা দায়িত্বের অপব্যবহার করেছেন। যিনিই যখন ক্ষমতায় গিয়েছেন, কীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা এবং আবার ফিরে আসা যায়-এটাই ছিল তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। দুর্ভাগ্য এতটুকুতে গিয়ে ঠেকেছে যে, যখনই কেউ ক্ষমতা থেকে চলে গেছে, সাথে সাথেই দুর্নীতির অভিযোগে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন, কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কেউ কেউ ক্ষমতা মাঝপথে রেখেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

এ ধরণেরই একটা প্রেক্ষাপটে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ২০২৫ পর্যন্ত আমাদের এই যাত্রা কখনও মসৃণ ছিল না। দফায় দফায় আমাদের ওপর অনৈতিক ও অন্যায্য বোঝা চাপানো হয়েছে। আমাদের গতি ও পথকে স্তব্ধ করতে নানা বোঝা চাপানো হয়েছে। তার সর্বশেষ আঘাতটি এসেছে বিগত সরকারের ২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরকে বিচারিক আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলায় কাউকে ফাঁসি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে, কাউকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আমাদের ১ থেকে ১১ নেতাকে ক্রমান্বয়ে নিষ্ঠুরভাবে বিদায় করা হয়েছে।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের নিবন্ধন ও প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছরে আমাদের কোথায় স্বস্তিতে বসতে দেয়া হয়নি। অফিসগুলো কার্যত তালা মেরে রাখা হয়েছিল। নিজেদের ঘরেও আমরা শান্তিতে থাকতে পারিনি। আমাদের অসংখ্য লোককে খুন করার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক গুম করা হয়েছে। গুম করে আয়না ঘরে টর্চার সেল কায়েম করা হয়েছিল। সেখানে বছরের পর বছর আমাদের সহকর্মী, অন্যান্য দলের বিশিষ্টজন, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ লোক ও আলেম-ওলামাদের বন্দি রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। অল্পসংখ্যক সেখান থেকে ফিরে এসেছেন, বাকিদের কোন হদিস নেই।

তিনি বলেন, সবার মত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। যে শর্তে এই নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল, তার কোন বিচ্যুতি জামায়াত করেনি। নিবন্ধনের সঙ্গে দলীয় প্রতীকটিও আমাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। সেই প্রতীক নিয়ে জামায়াত একটি নির্বাচনও করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০০৯ সালে সরকারের ইঙ্গিতে একটি বিশেষ মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য অন্যায়-অন্যায্য ও বেআইনি ভাবে আদালতে যায়। আদালতও এখতিয়ার বহির্ভুতভাবে এই মামলা আমলে নিয়ে একটা ন্যায়ভ্রষ্ট রায় উপহার দিয়েছেন। সেই রায়ের ভিত্তিতে আমাদের নিবন্ধনটি বাতিলের পর্যায়ে চলে যায়। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করি। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ১ জুন আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে হাইকোর্টের দেয়া রায়কে অবৈধ এবং বাতিল ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ২০১৩ সালে এই রায় প্রকাশ হওয়ার আগে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক বিষয়ে যে অবস্থান ছিল-তা দ্রুত সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ প্রদান করেন।

জামায়াত আমির বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লব না হলে হয়তো আজও আমাদের এই অধিকার ফিরে পেতাম না। এজন্য জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা জীবনবাজি রেখে একটা পরিবর্তনের জন্য এই লড়াই করেছিল, তারা শুধু ফ্যাসিবাদকে বিদায় করার জন্য লড়াই করেননি। বরঞ্চ ফ্যাসিবাদমুক্ত একটা দেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছিল। দু:খজনকভাবে ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিলেও ফ্যাসিজম এখনো বিদায় নেয়নি। তার কালো ছায়া ও ভুত জাতির ঘাড়ে রয়ে গেছে। এজন্য প্রয়োজন হবে-একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেই নির্বাচনটি কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে?

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জনগণ যখন ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারছিল না, তখন তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি ফর্মুলা দিয়েছিলেন। এরশাদের পতনের পর যে নির্বাচন হয়েছিল, তা তার দেয়া ফর্মুলার ভিত্তিতেই হয়েছিল। দেশের ইতিহাসে সেটাকে সবচেয়ে ফেয়ার নির্বাচন বলা হয়। এরপর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংবিধানে এই ফর্মুলা সংযোজন হয়েছিল ’৯৬ সালের একটা বিশেষ সংসদের মাধ্যমে।

এর ভিত্তিতে ৯৬ ও ২০০১ এর নির্বাচন হলো, এমনকি কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ২০০৮ এরও নির্বাচন হলো। কিন্তু তারপরই শেষ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আদালতকে ব্যবহার করে কেয়ারটেকার ব্যবস্থাকে সংবিধান থেকে খতম করে দেয়া হলো। উদ্দেশ্য ছিল-আওয়ামী লীগকে চিরতরে বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক বানানো। তারই দু:খজনক পরিণতি গত সাড়ে ১৫ বছরে জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। ২০১৩, ১৮ ও ২৪ সালে তিনটি নির্বাচন তাদের অধীনে হয়েছে। একটি বিনা ভোটের, একটি নিশিরাতের এবং সর্বশেষটি হলো আমি ও ডামির নির্বাচন। এই নির্বাচনের পর তারা ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দেয়।

তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা ছোট একটি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেটাকে নির্মমভাবে দমন করতে গিয়ে সরকারের পচা শামুকে পা কাটে। শেষ পর্যন্ত অপমানজনকভাবে সরকারের পতন হয়েছে। এই প্রথম বাংলাদেশ লক্ষ্য করল, একটি সরকার পতনের পর সরকারের লোকজন দেশে থাকার সাহস করতে পারলেন না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের যুব সমাজ বুক চেতিয়ে যে লড়াই করল-তাদের চাহিদা ছিল ন্যায় বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ। এটা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে সরকার প্রধান ঘোষিত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। যেখানে জনগণ তাদের ভোটের যথাযথ প্রতিফলন দেখতে পাবে।

দেশের জন্য এই লড়াইয়ে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে জামায়াত আমির বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের বেশিরভাগের না আছে এনআইডি, না আছে ভোটার তালিকায় নাম। এজন্য আমাদের ন্যায্য ও বলিষ্ঠ দাবি হলো-প্রবাসে অবস্থানরতদের প্রত্যেকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এই তালিকাভুক্ত তাদেরকে অবশ্যই করতে হবে। এটা কোন দু:সাধ্য কাজ নয়। ইসি কথা দিয়েছেন, তারা এটা করবেন। কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এজন্য আমরা উদ্বিগ্ন। এক কোটি ১০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে ইগনোর করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সফল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাদের ভোটাধিকার ও যোদ্ধা হিসেবে আরও যেসব পাওনা রয়েছে তা দেয়া হোক। এতে দেশ নতুন ডাইমেনশনে চলে যাবে। আর উপেক্ষা করা হলে তার করুণ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, তাদের এই ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে আমাদের কোন কম্প্রোমাইজ নেই। এটা করতেই হবে। ইসির দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করব।

জামায়াত আমির আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি এবং সার্বভৌমত্বের ওপর কোন ধরণের আধিপত্য আমরা মেনে নেব না। এই ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। আমরা বিশ্ব সভার সব সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সম্মান রাখতে চাই। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সৎ সম্পর্ক রক্ষা করে চলার পক্ষে। স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের এই অনুভূতিকে তারা সম্মান করবে বলে আমরা আশা করি।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে অতিদ্রুত অফিসিয়ালি আমাদের নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাওয়ার আশা করে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা-তারা যেন তাদের চেয়ারের মর্যাদা রক্ষা করেন। আমরা কারও প্রতি ফেভারিজম এবং ডিসফেভারিজম দেখতে চাই না। তাদের জায়গাটা সম্মান, আমানত এবং ভাল নির্বাচন উপহার দেয়ার জায়গা। আশা করব-সেই সম্মান রক্ষা করে চললে জামায়াত সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। কিন্তু কোন ব্যতিক্রম দেখলে আমরা চুপ থাকবো না।

এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, আমাদের অধিকার অন্যায্যভাবে যারা কেড়ে নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করিনি। তবে আমরা এমন পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করব।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর