ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান
আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ৩:০৭ এএম

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে বলে জোরালো দাবী জানিয়েছে্ন তারেক রহমান। বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক মহাসমাবেশ থেকে এই এই দাবী করেন তিনি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, কারও পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু পদত্যাগের নাটক করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা নির্বাচন চাই।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, নয়াপল্টন আজ তারুণ্যের সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। তরুণরা জেগে উঠেছে। জুলাই-আগস্টে আমাদের প্রথম বিজয় হয়েছে। আমাদের আন্দোলন কিন্তু থেমে যায়নি। আমরা বিজয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি। অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে পালিয়ে যেতে হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের পথ হলো নির্বাচন। রোডম্যাপ নিয়ে টালবাহানা চলবে না। সংস্কারের যদি ঐকমত্য না হয়ে থাকে, কান খুলে শুনে রাখুন, সেই সংস্কার বাংলাদেশের জনগণ মানবে না। আপনারা সংস্কার করার কে? সংস্কার করবে দেশের জনগণ। নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সংস্কার হবে।
মির্জা আব্বাস সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এ সরকার আস্থার সরকার ছিল, কিন্তু তা হারিয়েছে। ৯ মাসেও সংস্কার করতে পারেনি তারা, ৯ বছরেও পারবে না। দেশের জনগণকে বোকা ভাববেন না। দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিচ্ছে।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশপ্রেমিক মানুষের ভেতরে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। আমরা কথা বললেই, কাজ শেষ করার কথা বলেন। আমরা জানি, কোন কাজ শেষ করতে পারবেন না। এ সরকারের মাথা থেকে আগা পর্যন্ত পচন ধরেছে। এসময় কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে চাঁদাবাজি করছে, এদেরকে প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, সরকার ওয়াদা দিয়েছিল, অতিদ্রুত মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু ১০ মাসেও তারা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়নি। অনেকে নির্বাচন বিলম্ব করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সংস্কার আমরাও চাই, কিন্তু এই সংস্কার একাই করা যাবে না। আমরা চাই, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেয়া হোক। এ নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে জনগণ। দেশ নির্বাচনমুখী হলে ষড়যন্ত্র থেমে যাবে।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একমাত্র তরুণেরাই পারবে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে। বিএনপি সবসময় তারুণ্যকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। পরে তিনি নেতাকর্মীদের ঘরে ফিরে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে পাড়ায় মহল্লায় আওয়াজ তোলার কথা বলেন।
সমাবেশের শেষাংশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও বার্তায় বলেন, ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া সম্ভব হলেও ১০ মাস পরেও তা না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে সরকার। এটি ভিন্ন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন না হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার জন্য তরুণদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।
এআরএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: