প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যে প্রতিক্রিয়া জানালো বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় হয়নি। আমরা অপেক্ষা করবো।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় হয়নি। আমরা অপেক্ষা করবো। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।

এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির চার নেতা। বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৈঠক থেকে বের হয়ে লিখিত বক্তব্য দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা গণতন্ত্র চাই এবং সাংবিধানিক অধিকার চাই। আর সেজন্যই আমরা বারবার নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছি। আর এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, এমনকি এখন পর্যন্তও চাচ্ছি না। কিন্তু উনার কাছে আমরা একটি রোডম্যাপ দাবি করেছি।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে এবং পারিবারিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। তাই আওয়ামী লীগের বিচার সবচেয়ে বেশি দাবি করে বিএনপি। ফলে এই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিচার অসম্পন্ন থাকলে বিএনপি ক্ষমতা গেলে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করবে।

লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনারা আজকের কোনো আশ্বাস পান নাই, রোডম্যাপের বিষয়ে?

এর জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কোনো রকমের এরকম কথা হয় নাই। উনি স্পেসিফিক জানান নাই। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। হয়তো বা উনারা উনার প্রেসের মাধ্যমে জানাবেন। সেজন্য আমরা অপেক্ষা করবো।

পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, আপনারা সন্তুষ্ট কি না? এর জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর দরকার নাই। উনার প্রেস সেকশন কী বলে, তারপর আমরা প্রতিক্রিয়া দেবো।

এই আলাপের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মূলত সংস্কার এবং বিচার, নির্বাচন; এই তিনটা বিষয়ে কথা হয়েছে।