পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পিএসসির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোসহ বেশ কিছু দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একদল চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন, এক পর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পিএসসি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেই প্রেস ব্রিফিংয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, যারা পড়াশোনা করছে তারা সবাই তৈরি। তারা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি মনে করি তারা দুই সপ্তাহ পরীক্ষা পেছানোর জন্য বসে নেই। একই সিলেবাসে দুইটা পরীক্ষা। একটা সিলেবাস পড়েই পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা পেছানোর দাবিটা মনে হয় না যৌক্তিক। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দুই দফায় কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিসিএসের জট ছাড়ানো আমাদের প্রধান কাজ। আমরা একটা রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করছি সেখান থেকে বের হওয়ার সুযোগটাও কম। এ ছাড়াও যেখানে আমরা প্রশ্নপত্র ছাপাবো, নির্দিষ্ট সময় পরে আর সেখান থেকে প্রশ্ন ছাপানো যাবে না। পরীক্ষার কেন্দ্রও ইচ্ছামতো পাওয়া যাবে না।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা ১৭ জুনের মধ্যে শেষ করা হবে। ভাইভা শেষে ৩০ জুনের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। ৪৫ তম লিখিত পরীক্ষার ফল ৩০ জুনের মধ্যে দেয়া হবে। আর ভাইভা শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর। ৪৬ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ৮ মে। এছাড়া ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি। যে গতিতে পিএসসি এগোচ্ছে, তাতে আরো এক বছর সময় লাগবে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে। এরমধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬ এর লিখিত দেবে। তারা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে?
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: