লটারিতে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ থেকে, চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
বছর শেষ দিকে এলেই সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করা কিংবা স্কুল পরিবর্তন নিয়ে তড়িঘড়ি শুরু হয় অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীরাও বিভোর হয় নতুন উদ্যমে পথ চলার নতুন স্বপ্নে। কোনো কোনো শিশু-কিশোর বদলায় বিদ্যালয়, কোনো ক্ষুদেকুড়ি আবার হাঁটিহাঁটি পা পা করে এগোয় শিক্ষাজীবনের জ্বলজ্বলে সোপানে প্রথম পদচিহ্ন আঁকতে।
অবশেষে সেই সময় এসেছে। শুরু হয়েছে বিদ্যালয় ভর্তির আবেদন, চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ হবে দেশের সব সরকারি এবং মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্কুলে শূন্য আসনের আবেদনকারীদের। এ ক্ষেত্রে দুটি অপেক্ষমাণ তালিকাও করা হবে।
স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ভিন্নমত আছে। তারা বলছেন, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী লটারিতে নাম না ওঠায় তারা ভর্তি হতে পারছে না, এটা একটি সমস্যা। অনেক বাচ্চা আছে, লিখতে জানে না, কিন্তু ভাগ্যের গুণে চান্স পেয়ে যায়। অনেক বাচ্চা লিখতে পেরেও সুযোগ পায় না। সে জন্য মন খারাপ হয়। কেউ কেউ বলছেন, পরীক্ষা হলে অনেকটা ঝামেলা হয়। ওখানে কোটা থাকে, কোটার হিসাব করতে হয়। লটারিতে তো কোনো কোটা থাকে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রতি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৫৫ জন। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৫ বছর আর সর্বোচ্চ ৭ বছর। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, এমন শিশুদের ক্ষেত্রে তা শিথিলযোগ্য। সেইসঙ্গে ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফি ও সেশন ফির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান বলেন, এই লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে ভালো স্কুলে একজন মধ্যম মানের বা নিম্ন মানের শিক্ষার্থীর পড়ার সুযোগ আছে। এই লক্ষ্যে গত বছরের ধারাবাহিকতা এবারও বজায় আছে।
ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এলাকায় জন্য আসন থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়াও থাকবে অল্প করে সহোদর বা যমজ কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, বিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা থাকবে নামমাত্র। gsa.teletalk.com.bd—এই ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: