রাজসাক্ষী মামুনের বিষয়ে নতুন ‍সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১১:১১ এএম

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড হলেও একই মামলার অন্য আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাজা হয়েছে পাঁচ বছর কারাদণ্ড।

অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হয়ে মামলার অভিযোগ প্রমাণে ভূমিকা রাখার বিষয়টি সাবেক পুলিশপ্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায়ের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয় বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছেন।

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম মামলার রায় সোমবার দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিকে পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এখন গাজীপুরের বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। দণ্ডিত হওয়ার কারণে কারাবিধি মোতাবেক কারাগারে তার ডিভিশন–১ এর সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। এখন তিনি ডিভিশন–২ এর সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে তাকে পরতে হবে কয়েদির পোশাকও।

এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন জানান, ডিভিশন–১ এ থাকা কোনো বন্দির সাজা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ডিভিশন–২ এর আওতায় নিতে হয়। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির পুনরায় ডিভিশন–১ এর সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।

তবে সাবেক আইজিপি মামুন এখন তার ডিভিশন সুবিধা বলবৎ থাকার ব্যাপারে আবেদন করতে পারেন। এতে সরকার অনুমোদন দিলে তিনি ডিভিশন–২ এর সুবিধা পাবেন। আর অনুমোদন না দিলে সাধারণ কয়েদি হিসেবে থাকতে হবে।

কারাবিধি অনুযায়ী তিন ধরনের ডিভিশন থাকে। ডিভিশন–১, ডিভিশন–২, ডিভিশন–৩। সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের ১ থেকে ১৮ নম্বর পর্যন্ত অবস্থানে থাকা সাবেক ব্যক্তিরা প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ডিভিশন পান।

এছাড়া বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সিআইপি, স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রফেসর অব ইমিরেটাস নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ডিভিশন–১ পান।

আর সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা এবং অভ্যাসের কারণে জীবন যাপনের ধরন বিবেচনা করে অন্য উচ্চ মানের বন্দিদের ডিভিশন–২ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে দেড়শ’র বেশি মামলা রয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর