ইয়ামিনকে এপিসি থেকে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিতে অভিযুক্ত এএসআই গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ আগষ্ট ২০২৫ ০২:০৮ এএম

ফাইল ফটো

সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের মরদেহ পুলিশের এপিসির ওপর থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনায় মোহাম্মদ আলী নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃত এএসআই মোহাম্মদ আলী কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার কালাইহাতি গ্রামের মৃত মুনসুর আলী ও নাজমা আক্তারের ছেলে। শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ জানায়, সাভার মডেল থানার মামলায় এবং আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইসিটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি এএসআই মোহাম্মদ আলী (৩১) দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মুরাপাড়া এলাকা হতে আসামি এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাভার মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় নিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ইয়ামিন শহিদ হন। ওই সময় পুলিশের সাঁজোয়া যান এপিসি থেকে তাকে টেনে নিচে ফেলে দেয়ার ভিডিও তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে ইয়ামিনকে টেনে নিচে ফেলা হয়। এরপর পুলিশের এক সদস্য সাঁজোয়া যান থেকে নেমে ইয়ামিনের এক হাত ধরে তাকে টেনে আরেকটু দূরে সড়কে ফেলে রাখেন। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে টেনে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে ঠেলে অপর পাশে ফেলে দেন।

এআরএস

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর