সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে ৩ ঘণ্টা দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৫ ২৩:০৭ পিএম

সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন এবং একটি প্রভাবশালী চক্রের হয়ে মধ্যস্থতা করার অভিযোগে আসে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই দুদক অনুসন্ধানে নামে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় মুন্নী সাহা সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যান। বেলা ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুদক সূত্র জানায়, মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ লেনদেন ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার কাছে এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি যৌক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। অনেক বিষয় এগিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গতকাল সাংবাদিকদের জানান, ‘মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে দুদকের কাছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

দুদক জানায়, সাংবাদিক মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে যেসব আর্থিক অনিয়মের তথ্য এসেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

গত ২৪ মে আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক মুন্নী সাহার এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৮ কোটি টাকা রয়েছে। সিআইডি জানিয়েছে, মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ নিজ এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করা হচ্ছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।

সিআইডি জানিয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৪৬টি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩৫টি ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে। হিসাবগুলোতে সন্দেহজনকভাবে ১৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮ টাকা লেনদেন করা হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর