ইভিএম কেলেঙ্কারি, ইসির ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে রাষ্ট্রের ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি অপচয় করার অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করে।
ওই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৩ কর্মকর্তাকে গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াৎ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদক জানিয়েছে, তাদের কাছে পাওয়া তথ্য পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। দুদক জানায়, মোট ছয়জন কর্মকর্তাকে তলব করা হয়। তাদের মধ্যে আজ (বুধবার) দুদকে হাজির হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- ইসির উপসচিব ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার এবং তৎকালীন সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
এ বিষয়ে গতকাল বেলা ৩ টার দিকে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ( প্রতিরোধ) আক্তার হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘ ইভিএম কেলেঙ্কারির বিষয়ে তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
দুদকের জানিয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি আর্থিক বিধি লঙ্ঘন করে টেন্ডার ছাড়াই বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ টাকা মূল্যমানের ইভিএম কেনা হয়। এর ফলে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: