হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু: দুদক

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৪ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯:৪৫ পিএম

ছাত্র-জনতার গণঅভুন্থ্যানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।

তিনি জানান, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রয়োজনে বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় আমরা চিঠি পাঠাবো। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

দুদক কমিশনার জানান, আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট বলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি দূতাবাসে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের এম্বাসিতে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

তিনি আরও জানান, টিউলিপ সিদ্দিকীকে দেশে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। তাকে যে সব চিঠি পত্র দেওয়া হয়েছে- তা তার বাংলাদেশি ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে। তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছি না।

মামলা যখন হয়ে গেলো, তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে কী-না তা তিনি জানেন না বলে জানান। তিনি আরও জানান, এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শেখ হাসিনা ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি পর্যায়ে রয়েছে। চুক্তি হয়ে গেলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবো।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর