‘জেন-জি রেভলিউশনে’ উত্তাল নেপাল: সংসদে ঢুকে পড়লো জনতা, নিহত ১৪
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬:৪৯ পিএম

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
প্রতিবাদকারীরা সরকারের দুর্নীতি এবং কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে। বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা কারফিউ ভেঙে পার্লামেন্টের কাছে নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে রাজধানীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। খবর এনডিটিভির।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণেরা সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা পেরিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। তখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসক ছাবিলাল রিজাল দেশটির গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। প্রেসিডেন্টের বাসভবন, ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবন, সিংহ দরবার, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াটারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসমাগম ও মিছিল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী ছাত্র ইয়ুজন রাজভান্ডারী বলেন, “আমরা সামাজিক মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে অনুপ্রাণিত হয়েছি, কিন্তু এটিই আমাদের এখানে জড়ো হওয়ার একমাত্র কারণ নয়। আমরা নেপালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।”
একই সঙ্গে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পোখরাতেও। সেখানেও কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ভাঙচুর করেন। দেশটির নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি এই বিষয়ে জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন।
সম্প্রতি নেপাল সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (টুইটার), ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটসহ জনপ্রিয় সামাজিক সাইটগুলো বন্ধ করে দেয়। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে তরুণরা রাস্তায় নামে। তাদের অভিযোগ, সরকার নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে অথচ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: