ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ৫৪ নারী-শিশুসহ নিহত ৪ শতাধিক

ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ প্রধান হোসেইন কেরমানপুর শনিবার (২১ জুন) ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতদের নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৯ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি ইরানি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫৪ জন নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৬ জন।
কেরমানপুর জানান, হতাহতদের অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ।
তিনি আরো বলেন, “আহতদের মধ্যে ২ হাজার ২২০ জনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৩২ জনকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে আমাদের চিকিৎসক দল সারা দেশে আহতদের ওপর ৪৫৭টি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছেন।”
১৩ জুন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই দিন ইসরায়েল দাবি করে, তাদের হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তবে ইরান বলছে, হামলার প্রথম দিন থেকেই বেসামরিক ইরানিরা হতাহতের শিকার হচ্ছেন। এই সংখ্যা বেড়ে ৪০০ ছাড়িয়ে গেল।
উত্তর ইসরায়েলে আবাসিক ভবনে ড্রোন আঘাত করেছে, জানালেন উদ্ধারকর্মীরা
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে। এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেইত শেয়ান উপত্যকায় সামরিক ‘তৎপরতা’ শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, উত্তর ইসরায়েলে একটি দুই তলা আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো তথ্য নেই।
এর আগে শুক্রবার, একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফায় আঘাত হানে, যার ফলে ভূমধ্যসাগরীয় বন্দরের ওপরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ওই হামলায় অন্তত ৩১ জন আহত হন।
ইসরায়েলের হামলায় হতাহতের সংখ্যা জানাল ইরান
গত ১৩ জুন ইসরায়েল-ইরান সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে কমপক্ষে ৪৩০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো অন্তত ৩,৫০০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
গত ১৩ জুন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলে ইরানি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল: ইরান
চলমান সংঘাতে ইসরায়েল তিনটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে জানিয়ে ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ-রেজা জাফরগান্দি বলেছেন, হামলার সময় হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করেছে ইসরায়েল।
ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, হাসপাতালে হামলায় দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া, ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইরানের নূর নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৫ জন কর্মকর্তা ও সৈনিক নিহত হয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা ক্রমেই নতুন মাত্রা নিচ্ছে এবং এতে দুই পক্ষেরই বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটছে।
ইসরায়েলের জনবহুল এলাকায় ইরানের ড্রোন হামলা
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকে ইসরায়েলে নতুন করে ড্রোন হামলা শুরু করেছে ইরান। সর্বশেষ গত ১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের আরাভা অঞ্চল ও বেইত শে’আন উপত্যকায় নতুন করে সন্দেহভাজন ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনায় সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বেইত শে’আন উপত্যকায় একটি ইরানি ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত ১৩ জুন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের জনবহুল এলাকায় ইরানি ড্রোনের আঘাতের এটি প্রথম ঘটনা বলে দাবি করেছে টাইমস অব ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আরাভা অঞ্চলে ১ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
ইরানে রাতভর ৫০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলার দাবি ইসরায়েলের
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী রাতভর ইরানে কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে বড় আকারে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনা ও চারটি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
শনিবার (২১ জুন) এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, প্রায় ৫০টি আইএএফ যুদ্ধবিমান এই হামলায় অংশ নিয়েছে। বিমানগুলো প্রায় ১৫০টি ভারী বোমা ফেলেছে।
আইডিএফ আরো জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির আরো ক্ষতি করার লক্ষ্যে তারা শুক্রবার রাতে আবারো ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর আগে গত ১৩ জুন, হামলার প্রথম দিনেও ইরানের এই পারমাণবিক স্থাপনাটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
ইসফাহান অঞ্চলে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি একটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রেও হামলার দাবি করেছে আইডিএফ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতে, এই হামলায় ইরানের সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন ক্ষমতার ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ হয়েছে।
সর্বশেষ হামলায় ইরানের চারটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করারও দাবি করেছে আইডিএফ।
আইডিএফ জানিয়েছে, রাতভর আরো হামলায় ইসরায়েলে ড্রোন উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত ট্রাক, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ ও উৎক্ষেপণের অবকাঠামো, ইরানি রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা সাইটগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের খোররামাবাদে নিহত ৫
ইরানের খোররামাবাদ শহরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এর উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের নূর নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৫ জন কর্মকর্তা ও সৈনিক নিহত হয়েছেন।
গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নেতাদের ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যাকাণ্ড, এমনকি বেসামরিক ও সরকারি ভবনও।
হামলা অব্যাহত থাকলে সমান পাল্টা জবাব দেওয়া হবে: ইরান
ইসরায়েলের হামলার মধ্যেও কূটনৈতিক আলোচনার দরজা খোলা রাখার কথা জানিয়েছে ইরান। তবে হামলা অব্যাহত থাকলে ‘সমান’ পাল্টা জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি স্পষ্ট করে বলেছেন, “যদি হামলা অব্যাহত থাকে, তাহলে ইরান ‘সমানুপাতিক জবাব’ দেবে।”
আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাজেরানি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, অপর পক্ষের কথা শোনা জরুরি। এ কারণেই আমাদের কূটনীতিকরা এখন জেনেভায় অবস্থান করছেন, যাতে আলোচনার সুযোগ থাকে।” তবে তিনি এটিও বলেন যে, আলোচনা শুরু হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের আক্রমণ স্বীকার করতে হবে।
তার ভাষায়, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিশ্বকে স্বীকার করতে হবে যে এক সত্যিকারের আগ্রাসী শাসন ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় নিশানা করা হয়েছে আমাদের সামরিক কমান্ডার, শিশু, নারী, বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকদের।”
তিনি পশ্চিমা শক্তিগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আরো উস্কানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন, যাতে তারা ইরানি জনগণের সঙ্গে ‘হুমকির ভাষায়’ কথা না বলে।
তিনি বলেন, “যদি তারা (পশ্চিমা শক্তি) কোনো ভুল করে, তবে আমরা নিঃসন্দেহে আত্মরক্ষা করব এবং যা কিছু আমাদের ন্যায্য অধিকার, তা আদায় করব।”
কোমে হামলায় কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিনি ইউনিটের কমান্ডার নিহত, দাবি ইসরায়েলের
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ দাবি করেছেন, ইরানের কুদস ফোর্সের অধীন ফিলিস্তিনি কোরের কমান্ডার সাঈদ ইজাতিকে তারা হত্যা করেছে। ইরানে কোম শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন তিনি।
এর আগে জানা যায়, ইসরায়েলি একটি বিমান কোম শহরের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে। কোম শহরটি তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন ১৬ বছর বয়সি কিশোর নিহত হয়।
আলজাজিরা লিখেছে, তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি যে, উভয়েই একই হামলায় নিহত হয়েছেন কি না।
ইজাতির মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে কাৎজ বলেন, তিনি ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।
“(ইজাতিকে হত্যা করা) ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও বিমানবাহিনীর জন্য একটি বিশাল সাফল্য; এটি নিহত ও অপহৃতদের জন্য ন্যায়বিচার। ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত তার সব শত্রুর কাছ পর্যন্ত পৌঁছাবে।”
অবশ্য এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ২-৩ বছর পিছিয়ে গেছে: ইসরায়েলি মন্ত্রী
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার দাবি করেছন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে ইসরায়েল অন্তত দুই থেকে তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
জার্মান সংবাদপত্র বিল্ড-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই দাবি করেন। সেই খবর থেকে আলজাজিরা শনিবার (২১ জুন) সংবাদ প্রকাশ করেছে।
গিদেওন সার বলেন, “আমরা যে মূল্যায়ন পাচ্ছি, তাতে বলা হচ্ছে, আমরা ইতোমধ্যে তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাবনাকে অন্তত দুই বা তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছি।”
ইসরায়েল ইরানে অভিযান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা করছে না বলে আভাস দিয়েছেন এই মন্ত্রী।
গিদেওন সারের ভাষায়, “এই হুমকি দূর করতে আমরা যা যা করতে পারি, সবকিছুই করব।”
ইরান বহুবার দাবি করেছে, তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায় না এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ বেসামরিক ব্যবহারের জন্যই পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) শুক্রবার জোর দিয়ে বলেছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে- এমন কোনো প্রমাণ নেই। তারপরও সেই অভিযোগ তুলে সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন-কানুন লঙ্ঘন করে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যার জবাব দিচ্ছে ইরান। আর এই সংঘাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আইআরজিসির দ্বিতীয় ড্রোন কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ইসলামিক ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানায়, দেশটির বিমানবাহিনী দক্ষিণ-পশ্চিম ইরান থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে ‘শত শত ড্রোন’ ছোড়ার পরিকল্পনায় জড়িত আমিন পুর জোদখি নামের ওই কমান্ডারকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরো জানায়, এর আগে ১৩ জুন আইআরজিসি ড্রোন ইউনিটের আরেক নেতা তাহার ফুরকে হত্যার পর আমিন পুর ড্রোন অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
তবে তেহরান এখনও এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরায়েলের ওপর নতুন হামলার বিস্তারিত জানাল ইরান
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ইসরায়েলের ওপর সর্বশেষ হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে। আজ শনিবার ভোরে নতুন ওই হামলা চালিয়েছে ইরান। খবর আল জাজিরার।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, আইআরজিসি ইসরায়েলের উপর তাদের সর্বশেষ হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে।
আইআরজিসির বিবৃতি অনুসারে, “শনিবার ভোরে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ১৮তম আক্রমণ চালানো হয়েছে। বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ মধ্য ইসরায়েলের সামরিক স্থান ও অপারেশনাল সহায়তা কেন্দ্রগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই আক্রমণে ইরানের অভ্যন্তরীণভাবে ডিজাইন করা শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যহার করা হয়েছে, যা দখলকৃত ভূখণ্ডের উপর ‘আকাশে ক্রমাগত মিশন পরিচালনা করে’, সেইসাথে কঠিন ও তরল জ্বালানিচালিত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রও হামলায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।”
আইআরজিসি বলেছে, “সর্বাধিক উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের বাধা দিতে অক্ষম ছিল।”
আইআরজিসি হুশিঁয়ারি দিয়ে আরো বলেছে, “ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সম্মিলিত অভিযান ধারাবাহিকভাবে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে অব্যাহত থাকবে।”
ইরানে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় কিশোর নিহত
ইরানের কোমে একটি আবাসিক ভবনে আজ শনিবার ভোরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়েছে এবং আরো দুজন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার লক্ষ্য তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। খবর আল জাজিরার।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, গত এক ঘণ্টায় ইসরায়েল ইরান জুড়ে আরো বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
* ইসরায়েল মধ্য ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ ও উৎক্ষেপণ অবকাঠামোর ওপর হামলার দাবি করেছে।
* ইসফাহান ও তেহরান প্রদেশে আকাশে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।* নাজাফাবাদ শহরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে, অন্যদিকে তেহরানের কাছে মালার্ড শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: