হটলাইনে ভারত-পাকিস্তান; সেনা কর্মকর্তাদের প্রথমবার বৈঠক
আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ৮:৫১ পিএম

ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের প্রধানদের মধ্যে প্রথমবার হটলাইনে কথা বলেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, সোমবার (১২ মে) বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে এই বৈঠক।
দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় সীমান্তে উত্তেজনা কমেছে এবং তাদের শেয়ার বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
কয়েকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পরস্পরবিরোধী অভিযোগের পর রবিবার (১১ মে) রাতে বিস্ফোরণ বা গোলাবর্ষণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রবিবার ছিল গত কয়েক দিনের মধ্যে প্রথম শান্তিপূর্ণ রাত, যদিও কিছু স্কুল এখনো বন্ধ রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পক্ষ থেকে। এর মধ্য দিয়ে চার দিনের তীব্র গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কিছু ব্যক্তিক্রম বাদে বন্ধ হয়।
ভারতের সেনাবাহিনী রবিবার পাকিস্তানকে ‘হটলাইন‘ বার্তা পাঠিয়ে আগের দিনের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করে এবং জানায় যে, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটলে তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে।
তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র কোনো লঙ্ঘনের অভিযোগ নাকচ করেন।
পাকিস্তান রবিবার রাত পর্যন্ত এই আলোচনা নিয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এর পাল্টা জবাবে ভারত পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় এবং সম্পর্ক তীব্রভাবে খারাপ হয়।
পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে।
ভারত জানায়, তারা বুধবার পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ভারতের হামলার পর সোমবার পাকিস্তানের শেয়ারবাজার প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় এক ঘণ্টার জন্য লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। গত তিন দিনের বেশিরভাগ ক্ষতি পুষিয়ে উঠেছে তারা।
শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ পাকিস্তানকে জলবায়ু সহনশীলতা তহবিলের অধীনে নতুন করে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৭ বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের অনুমোদন দেয়।
এদিকে, ভারতের নিফটি সূচক আগের তিন দিনে ১ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে যাওয়ার পর সোমবার সকালে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
ইসলামাবাদ যেখানে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং ট্রাম্পের কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে, সেখানে নয়াদিল্লি এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বা নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নয়াদিল্লির মতে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সব সমস্যা সমাধান করতে হবে, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণযোগ্য নয়।
২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা কংগ্রেস পার্টি পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: