গাজা লেবানন সিরিয়া অনির্দিষ্টকাল দখলে রাখবে ইসরাইল

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:০৪ পিএম

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড এবং প্রতিবেশী দুই দেশ লেবানন এবং সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখবে ইসরাইল। একই সঙ্গে যেসব অঞ্চল ইসরাইল নিজেদের দখলে নিয়েছে, সেখানেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।

বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অতীতে দখলকৃত স্থানের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়েছিল ইসরাইল। এবার আর তা করবে না। কাটজের এমন মন্তব্য হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনাকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।

আইডিএফ জানিয়েছে, তারা গাজার ৩০ শতাংশকে ‘নিরাপত্তা জোন’-এ পরিণত করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরাইলি সেনারা ‘যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতে’ গাজা, সিরিয়া এবং লেবাননের তথাকথিত নিরাপত্তা অঞ্চলে অবস্থান করবে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করার পাশাপাশি গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে বন্দি ৫৯ জনকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত বলে মনে করে ইসরাইল। তবে হামাস বলেছে, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা বন্দিদের মুক্তি দেবে না।

এদিকে, ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব জেরুজালেম এবং সিরিয়া থেকে দখল করা গোলান মালভূমি নিজেদের দখলে নিয়েছে। তারা প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির আবাসস্থল পশ্চিম তীর অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে দখল করে রেখেছে, যেখানে এখন পাঁচ লাখেরও বেশি ইহুদি বসবাস করছে। ২০০৫ সালে ইসরাইল গাজা থেকে সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করে নেয় কিন্তু দুই বছর পর হামাস ক্ষমতা নেওয়ার পর মিসরের সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে।

এদিকে ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়া ইসরাইলি সেনাদের এ উপস্থিতিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সামরিক দখলদারিত্ব বলে মনে করছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর