ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তাল ভারত, উসকে দিচ্ছেন মোদি-আদিত্যনাথ

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৪ পিএম

সংশোধিত মুসলিম ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তাল ভারত। এ পরিস্থিকে আরো উসকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে।

যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, দাঙ্গাকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার একমাত্র মাধ্যম বলপ্রয়োগ। আপনারা দেখছেন পশ্চিমবঙ্গ পুড়ছে। কিন্তু ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ। দাঙ্গাকারীদের শান্তিদূত বলছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপাধ্যায়। যারা লাঠির ভাষা বুঝে, তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

এদিকে মুসলিমদের ছোট করে কথা বলেছেন নরেদ্র মোদি। হরিয়ানায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ওয়াকফের নামে সমগ্র দেশে লাখো হেক্টর জমি রয়েছে। সততার সঙ্গে যদি এসব সম্পদ ব্যবহার করা হতো, তাহলে মুসলিম যুবকদের সাইকেলের পাংচার ঠিক করে জীবন পার করতে হতো না।

ভারতের হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল এআইএমআইএম প্রধান ও হায়দ্রাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মোদির দিকে পাল্টা অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন। এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, সনাতনদের সংগঠন আরএসএস যদি তাদের সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করতো, তাহলে ছোট বেলায় মোদির চা বিক্রি করার প্রয়োজন হতো না। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন সংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এ দিকে ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে ভারতীয় মুসলমানরা। দেশজুড়েই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার রেশ গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সব মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্য মুসলিম হতে হবে, ব্যতিক্রম শুধু পদের বদলে বোর্ডের সদস্যপদ পাওয়া ব্যক্তিরা। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের ধর্মীয় ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেওয়া হবে কি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আদালত যে সমস্ত সম্পত্তিকে ওয়াকফ ঘোষণা করেছে, তাতে কোনও পরিবর্তন ঘটানো যাবে না আপাতত। ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের আইন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে আদালত।

মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মামলা করেছে আরজেডিও।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর